মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতের মুম্বাইয়ে ধরা পড়ল হাই-প্রোফাইল সেক্স র্যাকেট। সেখানকার তিন তারকা হোটেল থেকে ওই চক্রকে ধরেছে পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে তিনজন অভিনেত্রীকে। ওই তিনজনের মধ্যে একজন কিশোরী বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় প্রিয়া শর্মা নামে একজন নারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
অভিনেত্রীদের জোর করে যৌনকর্মী বানানো হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ওই চক্রের মূল হোতা ২৯ বছর বয়সী প্রিয়া শর্মাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মুম্বাইয়ের আন্ধেরিতে তিন তারকা হোটেলে দীর্ঘদিন ধরেই চলছিল মধুচক্রের আসর। পুলিশের কাছে কিছুদিন ধরেই মধুচক্র নিয়ে অভিযোগও আসছিল।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার পূর্ব আন্ধেরীর ওই হোটেলে অভিযান চালায় মুম্বাই সাইবার ক্রাইম পুলিশ। তদন্তে জানা যায়, কান্দিভালি এলাকায় একটি ভ্রমণ সংস্থার অফিস খুলেছিল অভিযুক্ত প্রিয়া। তার আড়ালে চলত দেহ-ব্যবসার কারবার।
উদ্ধার হওয়া নারীদের মধ্যে একজন অভিনেত্রী ও গায়িকা। জনপ্রিয় ধারাবাহিক ‘সাবধান ইন্ডিয়া’-য় অভিনয় করেছেন তিনি। অন্যজন মারাঠি সিনেমা ও ধারাবাহিকের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। আর কিশোরী অভিনেত্রী এরই মধ্যে কয়েকটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছেন।
মুম্বাইতে আরেকটি মধুচক্রে নাম জড়িয়েছে বলিউডের। গ্রেপ্তার করা হয়েছে কাস্টিং ডিরেক্টর নবীন কুমার প্রেমলাল আর্যকে। মুম্বাই পুলিশের এসএসবি গ্রেপ্তার করেছে ওই ব্যক্তিকে। শহরে সেক্স র্যাকেট চালানোর অভিযোগে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, তাদের কাছে খবর আছে যে নারী পিছু ৬০ হাজার টাকা নেন ওই ব্যক্তি। গত পাঁচ বছর ধরে ওই ব্যবসা চালিয়ে আসছিলেন। সঙ্গে ছিল অজয় শর্মা ও বিজয় নামে দুই বন্ধু। এখনো অজয় ও বিজয়কে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
এসএসবি-র ইন্সপেক্টর সন্দেহ রেওয়ালে বলেন, আগে থেকে খবর ছিল তাদের কাছে। সেই খবরের ভিত্তিতে মুম্বাইয়ের সেভেন বাংলো এলাকার একটি ক্যাফেতে ফাঁদ পেতেছিল পুলিশ।
কাস্টমারের ছদ্মবেশে এক ব্যক্তি ওই নবীন কুমারকে ফোন করেন। তিনিও দুই নারীকে পাঠাতে রাজি হয়ে যান। দুই নারী মডেল হিসেবে ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করছে। প্রত্যেক নারী পিছু ৬০ হাজার টাকা করে চাওয়া হয়। পাশাপাশি একটা হোটেল অ্যাডভান্স বুকিং করতে বলা হয়।
নবীন কুমার দুই নারীকে নিয়ে আসতেই তার পরিচয় স্পষ্ট হয়ে যায় পুলিশের কাছে। সঙ্গে সঙ্গে নবীনকে গ্রেপ্তার করা হয় এবং ওই দুই নারীকে উদ্ধার করে পুলিশ। তদন্তে জানা গেছে, এদের মধ্যে একজন নারী দিল্লির বাসিন্দা ও গত এক বছর ধরে এই র্যাকেটের সঙ্গে যুক্ত।
মধুচক্রের সঙ্গে জড়িত থাকার কারণে কিছুদিন আগেই বলিউডের এক প্রোডাকশন ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করা হয়। ঘটনাটি ঘটে জুহুর একটি চার তারা হোটেলে। পুলিশ সেখানে তল্লাশি চালিয়ে ওই প্রোডাকশন ম্যানেজারকে গ্রেপ্তার করে।