সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৩৯ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
হরিপুরে গ্রামবাংলার ঝোপঝাড় হতে বিলুপ্তির পথে কুচফল ওয়াজের মাঠ কাপানো আর নারীদের খাট কাপানো হুজুর মুফতি মুহাম্মদ শফিকুজ্জামান দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ করায় ৮০০ নেতার বিরুদ্ধে বিভিন্ন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে: রিজভী নির্বাচন কবে, সেই ঘোষণা হবে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকেই : প্রেস উইং মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী
স্কুলে বিজ্ঞান-মানবিকের বিভাজন না থাকাই ভালো : প্রধানমন্ত্রী

স্কুলে বিজ্ঞান-মানবিকের বিভাজন না থাকাই ভালো : প্রধানমন্ত্রী

ভিশন বাংলা ডেস্ক: বিজ্ঞান শিক্ষার ওপর গুরুত্বারোপ করে প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় নবম শ্রেণি থেকেই বিষয় ভিত্তিক বিভাজন (বিজ্ঞান-কলা-বাণিজ্য) তুলে দেয়ার বিষয়ে নিজস্ব অভিমত ব্যক্ত করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

তিনি বলেন, এটা না থাকাই ভালো। এসএসসি’র পরে গিয়ে যদি বিভক্ত হয়, সেটাই ভালো।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, সবই পড়ুক তারপর যেখানে সে মেধা বিকাশের সুযোগ পাবে সেটা করে নেবে। তাহলে অন্তত, তাঁদের (শিক্ষার্থীদের) মেধা বিকাশের একটা সুযোগ হয়।

প্রধানমন্ত্রী চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের প্রসঙ্গ টেনে এজন্য শিক্ষার্থীদের দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, এখন সব সাবজেক্টই বিজ্ঞান ভিত্তিক। সেটা ধীরে ধীরে চলেই এসেছে। বিজ্ঞানের বাইরে কিছু নেই।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ সকালে তাঁর কার্যালয়ের (পিএমও) শাপলা হলে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৮’ বিতরণকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদের সর্বোচ্চ নম্বর /সিজিপিএ প্রাপ্তদের হাতে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক-২০১৮’ তুলে দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী অনুষ্ঠানে দেশের ৩৬টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১৭২ জন মেধাবী শিক্ষার্থীর মাঝে স্বর্ণ পদক বিতরণ করেন। যাদের মধ্যে ৮৪ জন ছাত্র এবং ছাত্রী রয়েছে ৮৮ জন। ২০১৭ সালে ১৬৩ জন শিক্ষাথী প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণ পদক লাভ করেছিলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের (দেশে) ক্লাশ নাইন থেকে কে কোন সাবজেক্টে যাবে সেটা ভাগ করে দেওয়া হয়। আমার মনে হয়, এই ভাগটা থাকার কোনো দরকারই নাই। কারণ, এসএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত সব সাবজেক্টই তাঁরা পড়তে পারে।

বিশ্বের অনেক দেশেই এমনটা নেই, কারণ, বিজ্ঞান না পড়ার ফলে অনেক বিষয়েই শিক্ষার্থীরা পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়। আর আমাদের দেশে ১৯৬৩ সালে আইয়ুব খান (পাকিস্তান আমলে) সরকারের সময় এটা করা হয় বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দিপু মনি বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন।

ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক কাজী শহিদুল্লাহ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক এবং উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন স্বাগত বক্তৃতা করেন। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপার্টমেন্ট অব ফিশারিজ টেকনোলজি’র শিক্ষার্থী মো. মোবারক হোসেন এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজের শারমিন সুলতানা অনুষ্ঠানে পুরস্কার বিজয়ীদের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করে বক্তৃতা করেন।

শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস এবং ইউজিসি’র সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রিপরিষদ সদস্যবৃন্দ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাবৃন্দ, বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং সচিববৃন্দ, জাতীয় অধ্যাপক, সাবেক ইউজিসি চেয়ারম্যানগণ, বর্তমান এবং সাবেক ইউজিসি সদস্যবৃন্দ, বিভিন্ন পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, প্রো-উপাচার্য এবং শিক্ষবিদগণ, পিএমও, শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ইউজিসি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দসহ আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই যে, চতুর্থ শিল্প বিপ্লবের কথা আমরা বলছি। এখানেও আমাদের ছেলে-মেয়েদেরকে সেভাবে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে। কারণ প্রযুক্তি ভিত্তিক শিল্প গড়ে উঠছে এবং সেটা আরো বিকশিত হলে সেখানে আমাদের জনশক্তি লাগবেই।

আমাদের জনসংখ্যাকে আমরা যদি কারিগরি, বিজ্ঞান ভিত্তিক এবং প্রযুক্তি শিক্ষার মাধ্যমে সেইভাবে দক্ষ করে যদি গড়তে পারি তাহলে আমাদের কোন সমস্যাতো কোনদিন হবেই না বরং আমরা অন্য দেশকে সাহায্য করতে পারবো, বলেন তিনি।

তাঁর সরকার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এবং সেলক্ষ্যে একটি সমন্তিত শিক্ষা ব্যবস্থা গড়ে তুলছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, সেক্ষেত্রে আমরা কাউকেই অবহেলা করতে চাইনা। যে কারণে, আমাদের মাদ্রাসা শিক্ষার সঙ্গে অনার্স কোর্স চালু এবং প্রযুক্তি শিক্ষার উদ্যোগ গ্রহণ করেছি।

তিনি বলেন, আমাদের কওমি মাদ্রাসাকেও আমরা স্বীকৃতি দিয়েছি এবং দাওরায়ে হাদিসকে মাস্টার্স সমমান দিয়েছি। কারণ, তাঁদেরকেও আমরা সমন্বিত শিক্ষার মধ্যে নিয়ে আসতে চাই। একই ডিসিপ্লিনে নিয়ে আসতে চাই।

প্রধানমন্ত্রী ইউজিসিকে শিক্ষার মানোন্নয়নে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওপর নজরদারি বাড়ানোর ও নির্দেশ দেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com