বৃহস্পতিবার, ৩১ Jul ২০২৫, ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন
আদালত প্রতিবেদক: যুব মহিলা লীগের বহিস্কৃত নেত্রী শামিমা নূর পাপিয়া ও তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরীকে (মতি সুমন) তিন মামলায় ফের ৫ দিন করে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম পৃথক তিন মামলায় তাদের রিমান্ডে দেয়ার এ আদেশ দেন।
আজ বুধবার পাপিয়াকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। বিমানবন্দর থানায় দায়ের জাল নোটের মামলায় রিমান্ডের অনুমতি দেন মহানগর হাকিম দেবব্রত বিশ্বাস। আর শেরেবাংলা নগর থানায় অস্ত্র ও মাদক আইনের দুই মামলায় রিমান্ডের আদেশ দেন মহানগর হাকিম সারাফুজ্জামান আনছারী।আদালত সংশ্লিষ্ট পুলিশের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা এসআই মাহমুদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।এর আগেও প্রথম দফায় দুজনকে ১৫ দিনের রিমান্ডে পেয়েছিল পুলিশ। সেই রিমান্ড শেষে বুধবার তাদের আদালতে হাজির করে তিন মামলায় ১০ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়।ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে গত ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে সুমন চৌধুরী (মতি সুমন) এবং তাদের দুই সহযোগী গ্রেফতার হন। বিমানবন্দর এলাকা থেকে গ্রেফতারের সময় পাপিয়াদের কাছ থেকে সাতটি পাসপোর্ট, ২ লাখ ১২ হাজার ২৭০ টাকা, ২৫ হাজার ৬০০ টাকার জাল নোট, ৩১০ ভারতীয় রুপি, ৪২০ শ্রীলঙ্কান রুপি ও সাতটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।ওই ঘটনায় বিমানবন্দর থানায় দায়ের করা হয় জাল নোটের মামলাটি, যাতে পাপিয়া ও তার স্বামীর সঙ্গে তার দুই সহযোগীকেও আসামি করা হয়। আর ওয়েস্টিন হোটেলে পাপিয়ার ভাড়া করা প্রেসিডেনশিয়াল স্যুইট এবং ইন্দিরা রোডে পাপিয়াদের দুটি অ্যাপার্টমেন্টে অভিযান চালিয়ে বিদেশি পিস্তল, ২০ রাউন্ড গুলি, পাঁচ বোতল মদ উদ্ধারের ঘটনায় শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা হয় দুটি মামলা। অস্ত্র ও মাদক আইনের এ দুই মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীকেই কেবল আসামি করা হয়। মঙ্গলবার অস্ত্র ও মাদক আইনের মামলা দুটির তদন্তভার দেওয়া হয় র্যাবকে। গ্রেফতারের মাদক ও অস্ত্র চোরাচালান, জমি দখল এবং ওয়েস্টিন হোটেলে নারীদের দিয়ে ‘যৌন বাণিজ্যসহ’ নানা অপকর্মের অভিযোগ আসতে থাকে নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক পাপিয়া ওরফে পিউয়ের বিরুদ্ধে। তখন দল থেকে তাকে বহিষ্কার করা হয়।