মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৩ পূর্বাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক:
প্রতিদিনই যখন দেশে করোনা আক্রান্ত রোগীর মৃত্যুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে, ঠিক তখনই সুস্থ হয়ে হাসপাতাল ছাড়ছেন ৯ ব্যক্তি। শুধু তাই নয়, করোনাকে জয় করে হাসপাতাল ত্যাগ করা রোগীদের করতালির মাধ্যমে বিদায় জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
শনিবার (২ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে এমন দৃশ্যের অবতারণা হয় রাজধানীর মুগদা জেনারেল হাসপাতালে। চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হওয়া ৯ ব্যক্তিকে করতালি দিয়ে বিদায় জানিয়েছেন চিকিৎসক ও অন্যান্য কর্মকর্তা। করোনা থেকে বেঁচে ফেরার পর এমন মুহূর্তের মুখোমুখি হতে পেরে রোগীরাও বেশ আনন্দিত।
বেলা সাড়ে ১২টার দিকে বের হতে থাকেন সুস্থ হওয়া রোগীরা। তাদের মধ্যে ছিলেন দুজন চিকিৎসকও। এভাবে একে একে ৯ ব্যক্তি চিকিৎসকদের করতালির মাধ্যমে হাসপাতাল ত্যাগ করেন। এর আগে, শুক্রবারও মুগদা জেনারেল হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১১ জন। হাসপাতালটিতে এখন ভর্তি আছেন ২৮৯ জন।
হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার সময় নিজেদের অভিজ্ঞতার কথা জানান কয়েকজন। এদের মধ্যে দৈনিক প্রথম আলোর সাংবাদিক শওকত হোসেন মাসুম বলেন, ‘এই হাসপাতালে এসেছি ২০ এপ্রিল। আমি হাসপাতালের দ্বিতীয় রোগী। ওয়ার্ডে ছিলাম দুদিন। স্বাভাবিকভাবে ওয়ার্ডে থাকা সহজ না। পরে আস্তে আস্তে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সবকিছু গুছিয়ে এনেছেন, আমিও কেবিনে গিয়েছি। আইসিইউতেও ছিলাম। সব মিলিয়ে ডাক্তাররা আমাকে অনেক সহায়তা করেছেন। এখন ভালো আছি। দুবার করোনা পরীক্ষায় ফলাফল নেগেটিভ এসেছে।’
করোনা পজিটিভ রোগীকে সেবা দিতে গিয়ে আক্রান্ত হন মুগদা হাসপাতালের মেডিক্যাল অফিসার বনি আমিন। তিনি বলেন, ‘আমি আক্রান্ত হয়েছি ১২ এপ্রিল। এরপর কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি ছিলাম ১৩ থেকে ২৩ এপ্রিল। পরে মুগদা জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তরিত হই। আমার অভিজ্ঞতা খুবই ভালো। ডাক্তাররা কো-অপারেটিভ। যদিও ডিসটেন্স ম্যানটেইন করে রোগী দেখছেন, এটা খুব স্বাভাবিক বিষয়। জনসচেতনতা খুবই জরুরি।’
কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড ডক্টর ফোরামের সভাপতি ও হাসপাতালটির চিকিৎসক অধ্যাপক মনিলাল আইচ লিটু বলেন, ‘করোনার কিন্তু সুনির্দিষ্ট কোনও চিকিৎসা নেই। করোনা আক্রান্তদের ৮০ শতাংশের কোনও চিকিৎসা লাগে না। এরমধ্যে ২৩ শতাংশ সিনড্রোমেটিক, বাকিদের মাইল্ড সিন্ড্রোম। এখানে সাপোর্টিং চিকিৎসা দেওয়া হয়। সেকেন্ডারি ইনফেকশন যাতে না হয় সেজন্য এন্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। কখনও কখনও নিওমোনিয়া বেশি হলে অক্সিজেন, আইসিইউ সাপোর্ট লাগে, সেগুলো দেওয়া হয়। করোনার জন্য তো কোনও ওষুধ নেই। রোগীর যে লক্ষণ প্রকাশ পায়, সেই অনুযায়ী আমরা চিকিৎসা দিয়ে থাকি।’