সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: করোনাভাইরাসের কারণে গত বছরের ১৭ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে স্কুল-কলেজ-মাদ্রাসা-বিশ্ববিদ্যালয়। সর্বশেষ দফায় আগামী ২৯ মে পর্যন্ত ছুটি বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছুটি আরও বাড়তে পারে বলে ইতিমধ্যে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে। এ পরিস্থিতিতে ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছেন শিক্ষার্থীরা। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেছেন।
এই আন্দোলনের মধ্যেই সভা ডেকেছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। জানা গেছে, শিক্ষা ব্যবস্থার ক্ষতি বিবেচনায় এবং করোনা সংক্রমণের হার কমে আসায় বিভিন্ন অঞ্চলভিত্তিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার বিষয়ে চিন্তাভাবনা করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। কম সংক্রমণের জেলা ও উপজেলার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো এক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হতে পারে।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মধ্যেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের চলমান ছুটি ও শিক্ষা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কথা বলতে সংবাদ সম্মেলন ডেকেছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। বুধবার (২৬ মে) দুপুর ১২টায় এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এতে এ ধরনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানানো হতে পারে বলে সূত্র জানিয়েছে। এ ছাড়া ছুটি আরও এক দফা বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
সূত্র জানায়, সংবাদ সম্মেলনে চলতি বছরের এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার্থীদের সংক্ষিপ্ত সিলেবাস শেষে তিন মাস পর পরীক্ষা নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হতে পারে। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতর এবং শিক্ষাবোর্ডের প্রস্তাবনা অনুযায়ী তাদের ৬০ দিন এবং ৮০ দিন ক্লাসে পড়িয়ে তারপর পরীক্ষা নেওয়ার সিদ্ধান্ত বহাল রয়েছে। তবে পরীক্ষার সময় পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে।
এ ছাড়া জুনের মাঝামাঝি এই দুই স্তরের ক্লাস শুরুর ঘোষণা আসতে পারে। পাশাপাশি ২০২২ সালের এসএসসি ও এইচএসসির জন্য সংক্ষিপ্ত সিলেবাসের সার সংক্ষেপ শিক্ষামন্ত্রী জানাতে পারেন। চলতি বছর অটোপাস দেওয়া হবে না বলে আগেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। সেটির বিষয়েও কথা বলতে পারেন মন্ত্রী।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয়ক ও ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক নেহাল আহমেদ গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার এসএসসি-এইচএসসিতে অটোপাস দেওয়া হবে না। প্রয়োজনে আরও তিন মাস পরীক্ষা পেছাবে। করোনা পরিস্থিতিতে বিশ্বের কোনো দেশে পরীক্ষা হয়নি। আমরা পরীক্ষা নেওয়ার পক্ষে। সেজন্য পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছি।’
অধ্যাপক নেহাল আহমেদ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলবে কি না, শিক্ষামন্ত্রী বলতে পারবেন। স্থগিত পরীক্ষাগুলো নেওয়ার বিষয়ে মতামত দিয়েছি। মন্ত্রণালয় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।