শনিবার, ২৬ Jul ২০২৫, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
ডিজিটাল নিরাপত্তায় এগিয়ে আসা এক তরুণ: মোঃ মিনহাজুল ইসলাম “মাইলস্টোন ট্র্যাজেডি” ফরিদপুরের গ্রামের বাড়িতে রাইসার দাফন সম্পন্ন লালমনিরহাটে বাড়ছে কলা চাষীদের সংখ্যা কুড়িগ্রামে রাতের আধাঁরে ঝুলন্ত নৌকা, সকালেই গ্রেফতার আওয়ামী লীগ কর্মী রাজশাহীতে অবৈধ দখল ও প্লটের অপব্যবহারের বিরুদ্ধে আরডিএর অভিযান ফরিদপুরের সদরপুরে ধর্ষকের বিচার দাবিতে গ্রামবাসীর বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কুড়িগ্রামে জমিসংক্রান্ত বিরোধে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ, নিহত ৩, আহত ২০ নেত্রকোনায় গৃহবধুকে হত্যার দায়ে হত্যাকারীর মৃত্যুদন্ড রায় ভাঙ্গন প্রতিরোধে কুড়িগ্রামে বিক্ষোভ ও সমাবেশ আইফোন কিনতে কলেজছাত্রীর ধর্ষণের নাটক
দেশে এখন করোনা সংক্রমিতদের ৮২ শতাংশেরই ওমিক্রন

দেশে এখন করোনা সংক্রমিতদের ৮২ শতাংশেরই ওমিক্রন

নিজস্ব প্রতিবেদক: বর্তমানে দেশে করোনা সংক্রমিতদের ৮২ শতাংশেরই নতুন ধরন ওমিক্রন। করোনার ডেল্টা ধরনের তুলনায় ওমিক্রনে সংক্রমণের হার অনেক বেশি হলেও এর মৃত্যুর হার কম।

বৃহস্পতিবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সাড়ে ১২টায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) শহীদ ডা. মিল্টন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।

উক্ত সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় বিএসএমএমইউয়ের উদ্যোগে পরিচালিত কোভিড-১৯ এর জিনোম সিকোয়েন্সিং নিয়ে গবেষণার ফলাফল। উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন।

গবেষণায় বলা হয়, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বিএসএমএমইউতে মোট ভর্তি রোগী এবং বহির্বিভাগের রোগীর মধ্যে ৮২ শতাংশের ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত। অন্য দিকে, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট শনাক্ত হয়েছে ১৮ শতাংশ মানুষের দেহে।

কেবল বহির্বিভাগের রোগীর ক্ষেত্রে ৮৮ শতাংশ ওমিক্রনে সংক্রমিত। তাদের মধ্যে ওমিক্রনের সাব-ভ্যারিয়েন্ট তিনটি ধরন পরিলক্ষিত হয়েছে বেশি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মতে, ওমিক্রনের সবচেয়ে বেশি সংক্রামক ভ্যারিয়েন্টটি বিএ.টু (BA.2)।

ফলাফলে বলা হয়, ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে ওমিক্রনে সংক্রমণের হার অনেক বেশি। ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্ট জিনোমের ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের চেয়ে বেশি মিউটেশন পাওয়া গেছে। যার বেশির ভাগ ভাইরাসটির স্পাইক প্রোটিনে হয়েছে। এ স্পাইক প্রোটিনের ওপর ভিত্তি করে বেশির ভাগ ভ্যাকসিন তৈরি করা হয়। স্পাইক প্রোটিনের গঠনগত বদলের জন্যই প্রচলিত ভ্যাকসিনেশনের পরও ওমিক্রন সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। গবেষণার পর্যবেক্ষণে আরও যে বিষয় উল্লেখ করা হয়-

>> ওমিক্রন এখন দেশের কোভিড-১৯ সংক্রমণের প্রধান উৎস, কিছুদিন আগে যা ছিল ডেল্টা।

>> তৃতীয়বারের মতো আক্রান্ত হয়েছেন এরকম রোগীরও ওমিক্রন পাওয়া গেছে।

>> হাসপাতালে ভর্তিরোগী জিনোম সিকোয়েন্স করে এ পর্যন্ত মোট ৬৫ শতাংশ রোগীর মধ্যে ওমিক্রন এবং ৩৫ শতাংশ রোগীতে ডেল্টা ভ্যারিয়েন্ট পাওয়া গেছে।

>> মৃদু উপসর্গের কারণে ওমিক্রন রোগীদের থেকে দ্রুত সংক্রমণ প্রবণতাও রয়েছে।

>> ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে কম মাথাব্যথা এবং সর্দির মতো উপসর্গ থাকে।

>> ওমিক্রন ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্তদের হাসপাতালে ভর্তির সম্ভাবনা কম।

>> এ গবেষণা জিনোমিক ডাটাবেজ থেকে বাংলাদেশে ভ্যাকসিন তৈরির ক্ষেত্রে সম্ভাবনা সৃষ্টি করে।

বিএসএমএমইউর কোভিড-১৯ এর ৯৩৭টি জিনোম সিকোয়েন্সিং করে এ গবেষণার ফলাফল প্রকাশ করেছে বলে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়। এ রিপোর্ট বিএসএমএমইউর চলমান গবেষণার সাড়ে সাত মাসের ফলাফল।

সংবাদ সম্মেলনে ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ বলেন, করোনাভাইরাসের সব ভ্যারিয়েন্ট বিপজ্জনক এমনকি মৃত্যুর কারণও হতে পারে। পাশাপাশি ভাইরাসের নিয়মিত মিউটেশন আমাদের প্রচলিত স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে ঝুঁকিপূর্ণ করতে পারে।

করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা এবং টিকা নেওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com