শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১২:৩৪ অপরাহ্ন
রবিউল হক (কুয়েত): কুয়েতে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে আবারও উৎসবে মেতে উঠেছে প্রবাসী বাংলাদেশিরা। করোনায় ঘরবন্দী একগুয়েমিতা দূর করতে দূতাবাসের পৃষ্ঠপোষকতায় কুয়েত আওয়ামী পরিবারের আর্থিক সহযোগিতায় পহেলা বৈশাখ উদযাপন কমিটির আয়োজনে আব্বাসিয়া টুরেস্ট পার্কে শুক্রবার (২৭ মে) দিনব্যাপী নানা আয়োজন মধ্য দিয়ে বৈশাখ উদযাপিত হয়।
বৈশাখী মেলায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুয়েতে নিযুক্ত বাংলাদেশের মান্যবর রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল মোঃ আশিকুজ্জামান সেই সাথে কুয়েতে বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক ও স্থানীয় উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা অংশগ্রহণ করেন।
অতিথিরা প্রবাসী বাংলাদেশি নারীদের তৈরি বিভিন্ন পিঠার স্টল ঘুরে দেখেন।
পহেলা বৈশাখ মানেই রবীন্দ্রনাথের সেই গান, ‘এসো হে বৈশাখ’ বেজে ওঠে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে থাকা বাঙালির হৃদয়ে। সঙ্গে সঙ্গে বাঙালি পরিবারের বাহারি পদের ভর্তার সঙ্গে পান্তা ভাতের আয়োজন। দেশীয় সংস্কৃতির ঐতিহ্যবাহী বাউল, ভাটিয়ালী, লালন, হাসন রাজার গান, আবৃত্তি, নৃত্য, শোভাযাত্রা, খেলাধুলার আয়োজনে অংশগ্রহণ করেন প্রবাসীরা।
এই বৈশাখী মেলায় প্রবাসী বাঙালি ও অন্যান্য ভাষা-ভাষীদের এক মহামিলন মেলা । ব্যস্ততার মাঝেও বৈশাখী মেলায় অগনিত দর্শকদের সমাগম ঘটে। বিভিন্ন এলাকা থেকে ছোট ছোট বাচ্চা থেকে শুরু করে প্রবীণদেরও বৈশাখী সাজে সজ্জিত হয়ে মেলায় অংশগ্রহণ করতে দেখা যায় । মেলা প্রাঙ্গণে মুখরোচক দেশীয় খাবার নিয়ে পাটি বিছিয়ে খেতে দেখা যায়। আবার অনেককে বলতে শোনা গেছে মরুর বুকে এক টুকরো বাংলাদেশ।
বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম ভুলু বলেন, ‘করনোকালিন গত দুবছরে আমরা সবাই কমবেশি আপন অনেক স্বজনকে হারিয়েছি। প্রবাস জীবনের এই কষ্ট এখনো আমাদের বিমর্ষ রাখে। অন্যদিকে কর্মময় প্রবাস জীবনে একটু নির্মল আনন্দ দিতে বৈশাখী মেলা উদযাপন কমিটি পরিশ্রম করেছেন। পরিবার বিহীন প্রবাসে দেশীয় সংস্কৃতি দেশীয় খাবার এবং বাংলাদেশীদের এক মিলন মেলার আয়োজনে সহযোগিতা করতে পেরে আমি আনন্দিত।।