সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:৩১ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: এবারও কোরবানির পশুর চামড়ার মূল্য অসহায় সম্বলহীন দরিদ্র মানুষেরা না পাওয়ায় ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজ।
সোমবার (১১ জুলাই) বাংলাদেশ সাধারণ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ সংগঠনটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
বিবৃতিতে তিনি বলেন, বরাবরের মতো এবারও চামড়ার ন্যায্য মূল্যের প্রাপ্ত অর্থ থেকে বঞ্চিত অসহায় দরিদ্র মানুষেরা। ২০১৭ সালে প্রডাক্ট অব দ্যা ইয়ার স্বীকৃতি পায় চামড়া শিল্প। বর্তমানে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম রপ্তানি শিল্প এ খাত। ২০২৫ সালের মধ্যে বিশ্বের চামড়া শিল্পের রপ্তানিকারক দেশের মধ্যে দশম স্থান অধিকার করতে পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে বাংলাদেশ। ২০২৪ সালের রপ্তানির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে পাঁচ বিলিয়ন ডলার, যা মোট জিডিপির এক শতাংশ।
তিনি বলেন, কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে রোববার বিকেল এবং আজ বৃহৎ চামড়ার বাজার পোস্তায় চামড়ার দাম মাঝারি আকারের গরুর ৩০০ থেকে ৭০০ টাকা। আর বড় আকারের গরুর চামড়া ৫০০ থেকে ৮০০ টাকার মধ্যে। সবচেয়ে অবাক করার বিষয় কোরবানিদাতার কাছ থেকে চামড়া কিনতে কোনো ব্যক্তিকে এখন আর পাড়া মহল্লায় দেখা যায় না।
চামড়ার প্রকৃত মূল্য না পাওয়া গেলেও ফিনিশড চামড়ার তৈরি জুতা এবং ব্যাগের মূল্য আকাশছোঁয়া। তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় কাঁচা চামড়ার মূল্য নিয়ে একটি অসৎ উদ্দেশ্য হাসিল করা হচ্ছে নাকি? সরকার এ ব্যাপারে প্রয়োজন উদ্যোগ গ্রহণ না করে নিষ্ক্রিয়তা প্রদর্শন কেন করছে সেটিও আমাদের কাছে বোধগম্য নয়।