শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৫ পূর্বাহ্ন
অনলাইন ডেস্ক : বাংলাদেশি-আইরিশ লেখক আদিবা জায়গিরদার তার বই ‘হানি এন্ড ইশু’স গাইড টু ফেক ডেটিং’ বইয়ের জন্য ‘ওয়াইএ বুক প্রাইজ ২০২২’ জিতেছেন। যার পুরস্কার হিসেবে তিনি দুই হাজার পাউন্ড পেয়েছেন। কবি এবং ঔপন্যাসিক ডিন আত্তারের সভাপতিত্বে বৃহস্পতিবার রাতে এডিনবার্গ আন্তর্জাতিক বই উৎসবের একটি অনুষ্ঠানে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
২০২১ সালের মে মাসে প্রকাশিত বইটি আদিবার দ্বিতীয় বই।
আদিবা জানিয়েছে বইটির প্রথম খসড়া লিখতে তিনি মাত্র ৩০ দিন সময় নিয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন ছোট ছিলাম তখন মিডিয়াতে দেখেছি, এলজিবিটি সম্পর্কগুলোর পরণতি সবসময় কষ্টের দেখানো হয়। এতে আসলে একটি চরিত্রের মৃত্যু হয়। আমি এসব দেখে খুব ক্লান্ত হয়ে পড়েছিলাম। আমি মনে করি এটি অল্প বয়সের ছেলেমেয়েদের জন্য খুব ক্ষতিকারক। তারা এ ধরনের প্রেমে শুধু দুঃখজনক সমাপ্তিই দেখে। তাই আমি বইটি লেখা শুরু করি। আমি দুইজন সমকামী বাঙালি মেয়েকে তাদের সম্পর্কে সুখে থাকতে দেখিয়েছি। ‘
আদিবা এই পুরষ্কারের জন্য মনোনীত হতে পেরে অনেক সম্মানিতী এবং উচ্ছ্বসিত হয়েছিলেন। তিনি বলেছেন, ‘যুক্তরাজ্যে বাঙালিদের অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু দুঃখের ব্যাপার আমাদের সাধারণ সাহিত্যের অনেক অভাব। আমি খুব সম্মানিত বোধ করছি দুইজন বাঙালির গল্প লিখতে পেরে, যেটি যুক্তরাজ্যের পাঠকদের কাছে সমাদৃত হয়েছে এবং ওয়াইএ পুরষ্কার জিতেছে। ‘
বিচারক দলের একজন সারাহ ওয়েব বলেছেন, ‘হানি এন্ড ইশু’স গাইড টু ফেক ডেটিং একটি অসামান্য উপন্যাস। ওয়াইএ পুরষকার ২০২২ এর জন্য বইটি একটি যোগ্য বিজয়ী। আদিবা চরিত্রগুলোকে এতটাই বাস্তব ভাবে লিখেছেন যেন মনে হয় তারা পৃষ্ঠা থেকে লাফ দিয়ে সামনে চলে আসে। ‘
বিচারক দলের প্রধান ক্যারোলিন কার্পেন্টার বলেছেন, ‘প্রতি বছর এই পুরষ্কার দেওয়ার জন্য সবচেয়ে সাহসী এবং সেরা কথাসাহিত্যিকদের থেকে একজন বিজয়ী বেছে নেওয়ার মত অসম্ভব কাজটি করতে হয়। আমি আনন্দিত যে আদিবা এই পুরষ্কারটি পেয়েছেন। তিনি তার গল্পে বন্ধুত্ব এবং অন্যত্বের মত বিষয়গুলো দক্ষতার সাথে লিখেছেন। গল্পটি হাস্যরস এবং প্রাণে ভরা। ‘
আদিবা বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকায় জন্ম গ্রহণ করেছিলেন। দশ বছর বয়স থেকে তিনি আয়ারল্যান্ডের ডাবলিনে থাকা শুরু করেন। তিনি ইংরেজি এবং ইতিহাস বিষয়ে স্নাতক এবং ঔপনিবেশিক পরবর্তী শিক্ষা বিষয়ে স্নাতকোত্তর করেছেন। এছাড়া তিনি একজন শিক্ষক। তিনি দ্বিতীয় ভাষা হিসেবে ইংরেজি পড়িয়ে থাকেন।
সূত্র :দ্য আইরিশ টাইমস।