রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:০৮ অপরাহ্ন
ময়মনসিংহের হালুয়াঘাটে কুয়া থেকে আয়েশা খাতুন (২) নামের এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা। এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শিশুটির মা, বাবা ও মামাকে আটক করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার জুগলী ইউনিয়নের গিলাবই গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আয়েশা খাতুন ওই গ্রামের বাদশা মিয়ার মেয়ে।
থানা পুলিশ ও মামলা সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছুদিন ধরে আম্বিয়ার সঙ্গে তার বড় ভাই তোফাজ্জল হোসেন ও তার আত্মীয়দের জমির ওয়ারিশ নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনায় তাদের ফাঁসাতে হত্যার পরিকল্পনা করেন নিহতের মা ও বাবা। পরিকল্পনা অনুযায়ী সোমবার রাতের কোনো এক সময় আম্বিয়া পূর্বপরিকল্পনা অনুযায়ী তার দুই বছরের শিশুকন্যাকে বালিশচাপা দিয়ে হত্যা করেন। পরে রাতের অন্ধকারে পার্শ্ববর্তী হালিমা খাতুনের বিশুদ্ধ পানির কুয়ায় লাশ ফেলে আসেন। এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেন। হত্যার পর দায় তোফাজ্জলের ওপর দিতে বিভিন্ন কথা ছড়ান তারা।
মামলার বাদী জুবেদা খাতুন বলেন, ‘এরা অমানুষ। জমির ওয়ারিশের জন্য নিজের মেয়েকে কেউ এভাবে হত্যা করতে পারে? আমি এদের ফাঁসি চাই। আর যেন কোনো বাবা-মা নিজের সন্তানকে এভাবে হত্যা করতে না পারে। ’
ওসি মো. শাহিনুজ্জামান খান বলেন, ‘আমাদের প্রথম থেকেই সন্দেহ হয়েছিল। গভীর রাতে দুই বছরের শিশু হেঁটে হেঁটে কুয়াতে পড়তে পারে না। আর শিশুটি যেহেতু মা-বাবার সঙ্গে ছিল। তাই আমরা শিশুটির মা-বাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে আসি। জিজ্ঞাসাবাদে আম্বিয়া তার ভাই তোফাজ্জল ও তার আত্মীয়দের ফাঁসাতেই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে বলে স্বীকার করেছে। এ ঘটনায় তার স্বামী তাকে সহযোগিতা করেছে। ’