শুক্রবার, ০৪ Jul ২০২৫, ০৩:২২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: আকস্মিক বন্যায় দেশের উত্তর-পূর্ব, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্বাঞ্চলের ১০ জেলার ৬৫টি উপজেলা প্লাবিত হয়েছে। এসব জেলায় পানিবন্দি পাঁচ লাখ ৮৬ হাজার ৪০টি পরিবার। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ লাখ ৪৫ হাজার ৫৫২ জন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে চলমান বন্যা পরিস্থিতি সম্পর্কে এসব তথ্য জানানো হয়।
বন্যার পানিতে ডুবে ফেনী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুজনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয়। তবে স্থানীয় সূত্রে কুমিল্লা ও কক্সবাজারে আরো পাঁচজনের মৃত্যুর তথ্য পাওয়া গেছে।
মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, গত ২০ আগস্ট থেকে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়ে কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, ফেনী, চট্টগ্রাম, খাগড়াছড়ি, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, মৌলভীবাজার, হবিগঞ্জ ও সিলেট জেলার ৬৫ উপজেলা প্লাবিত হয়েছে।
মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বন্যাদুর্গত এলাকায় ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এসব এলাকায় তিন কোটি ৩২ লাখ টাকাসহ পর্যাপ্ত ত্রাণসামগ্রী বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে মন্ত্রণালয় থেকে। ক্ষতিগ্রস্তদের মাঝে বিতরণের জন্য ১৯ হাজার ৬৫০ মেট্রিক টন চাল এবং ১৫ হাজার বস্তা শুকনা ও অন্যান্য খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে।
পানিবন্দি ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য দুই হাজার ২৪৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে ৮২ হাজার ৬৯৪ জন আশ্রয় নিয়েছে।
সাত হাজার ৭৫৫টি গবাদি পশুকেও আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। ১০ জেলার ক্ষতিগ্রস্তদের চিকিৎসায় ৪৯২টি মেডিক্যাল টিম কাজ করছে।
বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটায় বন্যাকবলিত বিভিন্ন জেলার আট লাখের বেশি গ্রাহক বিদ্যুত্হীন অবস্থায় রয়েছে। এসব জেলায় বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিপিডিবি) ও বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) বিদ্যুৎ সরবরাহ করছে।
বিতরণকারী সংস্থা দুটির কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বন্যার কারণে ফেনী, নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, মৌলভীবাজার, লক্ষ্মীপুরের বেশ কিছু অঞ্চলে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রাখা হয়েছে।
বন্যাকবলিত জেলাগুলোর জেলা প্রশাসকদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, সেনাবাহিনী, মেডিক্যাল টিম ও অন্য স্বেচ্ছাসেবকদের সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে সার্বক্ষণিক কন্ট্রোলরুম খোলা হয়েছে। যেকোনো তথ্য ও সহযোগিতার জন্য ০২৫৫১০১১১৫ নম্বর চালু রয়েছে।