বুধবার, ২১ মে ২০২৫, ০৪:৪৪ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
দেশের নিরাপত্তা পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার কুড়িগ্রামে অসুস্থ গরু জবাই করে বিক্রির চেষ্টা, ৫ জনের কারাদণ্ড গ্যাং লিডার হিটলু বাবু গ্রফতার, অস্ত্র উদ্ধার জীবনমান উন্নয়নে আগৈলঝাড়ায় সেমিনার ভোলার উন্নয়নে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের দাবি: প্রধান উপদেষ্টার প্রতি স্মারকলিপি জুলাই যোদ্ধার অনুদান পেলেন যুবলীগ নেতা, তদন্ত কমিটি গঠন মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন সংবাদ প্রকাশের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ কান উৎসবে প্রথম টেলিভিশন নারী সাংবাদিক শাহরিন জেবিন সরকারী খোলা থাকার নির্দেশ অমান্য করে তালা ঝুলছে নিকারিপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকায়: হাসনাত
চলনবিলে দিনব্যাপী মাছ ধরলেন গাইবান্ধার শৌখিন মাছ শিকারীর দল

চলনবিলে দিনব্যাপী মাছ ধরলেন গাইবান্ধার শৌখিন মাছ শিকারীর দল

মোঃ ইব্রাহিম আলী, সিংড়া (নাটোর) প্রতিনিধিঃ প্রতি বছর শীতের আগমনী বার্তা এলেই দলবেঁধে নাটোরের চলনবিলে পলো হাতে মাছ ধরতে নামেন উত্তরাঞ্চলের মানুষ। কিন্তু এবছর পলো হাতে এলেও মাছ না পেয়ে খালি হাতে ফিরতে হয়েছে সৌখিন মাছ শিকারিদের। নিষিদ্ধ জাল দিয়ে স্থানীয়রা পোনা ধরে ফেলায় বিলটি মাছশূন্য হয়ে পড়েছে বলে দাবি তাদের।

শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে বাস ও ট্রাকে করে রংপুর ও গাইবান্ধা থেকে প্রায় দেড় হাজার মানুষ হাজির হন নাটোরের সিংড়া উপজেলার চলনবিলে। বিলের শহরবাড়ি, কয়রাবাড়ি ও নিংগইন এলাকায় পলো নিয়ে তারা নেমে পড়েন মাছ মারতে। কিন্তু বেশিরভাগ শিকারি মাছ পাননি। ফলে হতাশা নিয়েই তারা ফিরছেন এলাকায়।

গাইবান্ধার পলাশবাড়ি সদরের বাসিন্দা রশিদ জানান, ট্রাক ভাড়া করে তারা ২৫ জন এসেছেন। প্রত্যেকের খরচ পড়েছে ১ হাজার টাকা। চার ঘণ্টা কয়রাবাড়ি এলাকায় পলো ফেলে তাদের ট্রাকের মাত্র দুজন দুটি ছোট বোয়াল পেয়েছেন। তিনি বলেন, এতদিন শুনেছি চলনবিল মাছের ঐতিহ্য। কিন্তু সেই ঐতিহ্য হারিয়ে গেছে।

গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের গয়েশপুর গ্রামের রফিক বলেন, ‘টানা পাঁচ ঘণ্টায় একটিও মাছ পাইনি। খালি হাতে ফিরছি। তবে এলাকাবাসীর সঙ্গে উৎসবে অংশ নিতে পেরেছি এটিই বড় পাওয়া।

 

রংপুরের পীরগঞ্জের শামীম বলেন, সিংড়ার স্থানীয় বাসিন্দারা নিষিদ্ধ চায়না দুয়ারী জাল নিয়ে পোনা মেরে নেয়ায় চলনবিলে মাছের বংশ বিস্তার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে মাছশূন্য হয়ে পড়ছে বিলটি। সাড়ে তিনঘণ্টা পলো ফেলে একটি বোয়াল মাছ পেয়েছি। স্থানীয় প্রশাসন এই জাল বন্ধ করতে পারলেই চলনবিলে মাছের ঐহিত্য ফিরে পাবে বলে জানান তিনি।

পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সভাপতি মোল্লা. মো. এমরান আলী রানা বলেন, আগে চলনবিল বিভিন্ন প্রজাতির মাছে ভরপুর ছিল। এখন বর্ষায় ৩ মাস পানি থাকায় মাছগুলো বড় হতে না পেরে হারিয়ে যেতে বসেছে। খাল-বিলে যত্রতত্রভাবে মাছ শিকার করাতেও কমেছে উৎপাদন। আগামীতে মৎস্য অভয়াশ্রমগুলোতে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি করতে না পারলে চলনবিলের মাছের ঐতিহ্য হারিয়ে যাবে।

সিংড়া সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন বলেন, পলো নিয়ে গাইবান্ধা ও রংপুর থেকে কিছু সৌখিন মাছ শিকারী এসেছিল চলনবিলে মাছ শিকার করতে। তবে পানি বেশি থাকায় তারা মাছ শিকার করতে না পেরে ফিরে গেছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com