সোমবার, ২১ Jul ২০২৫, ১১:৪৭ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ইসরাইলি সেনাবাহিনীর গুলিতে গাজার উত্তরাঞ্চলে ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা অন্তত ৬৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও অন্তত ১৫০ জন, যাদের অনেকের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। হামাস-শাসিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাতে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি। আহতদের উত্তর গাজার শিফা হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
রোববার গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানায়, গাজার অন্যান্য এলাকাতেও জাতিসংঘের ত্রাণের অপেক্ষায় থাকা অবস্থায় আরও ছয়জন ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন।
ঘটনার বিষয়ে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, তারা “তাৎক্ষণিকভাবে সতর্কতামূলক গুলি” চালিয়েছিল, যা প্রাণহানির কারণ হতে পারে। তারা হতাহতের ঘোষিত সংখ্যার সঙ্গে দ্বিমত প্রকাশ করেছে। এর আগের দিন শনিবার গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরাইলি বাহিনীর গুলিতে আরও অন্তত ৩৭ জন ফিলিস্তিনি নিহত হন।
জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি জানায়, তাদের ২৫টি ত্রাণবাহী ট্রাক ইসরাইল থেকে গাজায় প্রবেশের পর সীমান্ত চেকপয়েন্ট পার হতেই তা ক্ষুধার্ত বেসামরিক মানুষের বিশাল ভিড়ে পড়ে। ত্রাণ সংগ্রহের সময় সেখানে গোলাগুলিতে অনেকে হতাহত হন বলে জানানো হয়।
জাতিসংঘ বলছে, গাজার সাধারণ মানুষ চরম খাদ্যঘাটতির মধ্যে দিন কাটাচ্ছে এবং সেখানে জরুরি ভিত্তিতে মৌলিক পণ্য সরবরাহ বাড়ানো প্রয়োজন।
বর্তমানে গাজার বাজারগুলোতে প্রয়োজনীয় পণ্য নেই বললেই চলে। খাদ্যদ্রব্যের দাম এতটাই বেড়ে গেছে যে ২৩ লাখ মানুষের পক্ষে দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পূরণ করা প্রায় অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
নরওয়েজিয়ান রিফিউজি কাউন্সিলের মহাসচিব ইয়ান এগেল্যান্ড বলেন, “গত ১৪২ দিনে আমরা একটি ট্রাকও গাজায় প্রবেশ করাতে পারিনি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের যেসব নেতা বলছেন সহায়তা প্রবাহ স্বাভাবিক হচ্ছে, তা বাস্তবতার সঙ্গে মেলে না।”
জাতিসংঘের ফিলিস্তিনি শরণার্থী বিষয়ক সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএ (UNRWA) জানিয়েছে, তাদের কাছে মিসরের সীমান্তে গাজার জন্য পর্যাপ্ত খাদ্য মজুত রয়েছে। তবে ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার কারণে তা গাজায় প্রবেশ করতে পারছে না। সংস্থাটি বলেছে, “সীমান্ত খুলুন, অবরোধ তুলে নিন এবং আমাদের কাজ করতে দিন।”