বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২৬ অপরাহ্ন
ভিশন বাংলা ডেস্ক: নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবার ছিটকে পড়লো মালয়েশিয়ার একটি যাত্রীবাহী প্লেন। তবে যাত্রীরা সবাই অক্ষত ও নিরাপদ আছেন। শুক্রবারের এই দুর্ঘটনার পর তাৎক্ষণিকভাবে বন্ধ করে দেয়া হয়েছে সবগুলো বিমানের উড্ডয়ন। বাতিল করা হয়েছে অভ্যন্তরীণ এবং আন্তর্জাতিক রুটের সবগুলো ফ্লাইট। বিমানটিতে মোট ১৩৯ জন যাত্রী ছিলেন।
ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, মালিন্দো এয়ার পরিচালিত ‘বোয়িং ৭৩৭’ বিমানটি উড্ডয়নের সময় রানওয়ে থেকে ছিটকে পাশের ঘাসের মধ্যে গিয়ে পড়ে। তবে এ দুর্ঘটনায় কেউ হতাহত হয়নি বলে জানা গেছে। ইতোমধ্যে বিমানটিকে উদ্ধার করতে কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
এদিকে, বিমানটি ছিটকে পড়ার পর সব ফ্লাইটের উড্ডয়ন বাতিল করেছে ত্রিভুবন বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। পুনরায় কখন উড্ডয়ন কার্যক্রম শুরু হবে তা জানা যায় নি।
প্রসঙ্গত, মালয়েশীয় বিমানসেবা প্রতিষ্ঠান মালিন্দো এয়ার কুয়ালালামপুর-কাঠমান্ডু রুটে নিয়মিত যাত্রী পরিবহন করে থাকে।
বিমানের চাকা পিছলে বিমানটি ছিটকে পড়লেও হতাহতের কোন ঘটনা ঘটেনি। মালিন্দো এয়ারলাইন্সের বোয়িং বিমান-৭৩৭ বিমানটির চাকা কাঁদার মধ্যে আটকা পড়ে। বিমানটিকে সেখান থেকে সরানোর জন্য সেসময় বিমানবন্দরে অন্যান্য বিমানের উঠা-নামা বন্ধ রাখা হয়েছে। এতে বাইরে থেকে যেসব ফ্লাইট ওই বিমানবন্দরে নামার কথা ছিল সেগুলো অন্য বিমানবন্দরে অবতরণ করানো হয়।
বিমানবন্দরের মুখপাত্র প্রেমনাথ ঠাকুর বলেন, গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে মালয়েশিয়ার ওই বিমানটি কুয়ালালামপুরের উদ্দেশে যাত্রা করেছিল। কিন্তু বিমান উড্ডয়নের সময় সমস্যার মুখোমুখি হন বিমানের পাইলট। বিমানটি ছিটকে রানওয়ে থেকে ৩০ মিটার দূরে কাঁদার মধ্যে আটকে যায়। বিমানের সব আরোহীই নিরাপদে আছেন। তবে কি কারণে এ ধরনের সমস্যা হলো সে বিষয়ে তাৎক্ষণিকভাবে কিছু জানা যায়নি বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
গত ১২ মার্চ কাঠমান্ডুর এই বিমানবন্দরেই অবতরণকালে বিধ্বস্ত হয় ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের ৭১ আরোহীবাহী একটি প্লেন। এতে পাইলট, কো-পাইলট ও দুই ক্রুসহ মোট ৫১ জন নিহত হন, যাদের মধ্যে বেশিরভাগই বাংলাদেশি ও নেপালি। তবে বেঁচে গেছেন ২০ জন।