সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৩৮ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলে প্রধান কোচ নেই ছয় মাসেরও বেশি সময়। গত বছর অক্টোবরে দক্ষিণ আফ্রিকা সফর শেষে চন্ডিকা হাথুরুসিংহে সরে দাঁড়ানোর পর থেকে প্রধান কোচ শূন্য মাশরাফি মুর্তজারা।
বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান অনেকবারই বলেছেন, এক মাসের মধ্যে নতুন কোচ পাওয়া যাবে। কিন্তু এ মুহূর্তে বাস্তবতা একেবারেই ভিন্ন। কোচই পাচ্ছে না বিসিবি। এমনকি কোচ হওয়ার জন্য কেউ আশ্বাসও দিচ্ছেন না।
ফলে কোচ নিয়োগ কমিটিতে যারা আছেন তারা কার্যত আশাই ছেড়ে দিয়েছেন। যদি কখনও কেউ আসতে রাজি হন, সেই আশায় বসে আছে বিসিবি। বিশ্বের ভালো মানের যেসব কোচ আপাতত কোনো দলের দায়িত্বে নেই তারা বিভিন্ন কারণ দেখিয়ে বাংলাদেশে আসতে রাজি হচ্ছেন না।
সোমবার বিসিবির এক পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘যারা তালিকায় ছিলেন তাদের প্রায় সবাই না করে দিয়েছেন। অনেকে এমন সব শর্ত দিচ্ছেন যা পূরণ করে আমাদের পক্ষে কোচ নিয়োগ দেয়া সম্ভব নয়। বড় নামের অনেকে খণ্ডকালীন কোচ হিসেবে কাজ করতে চান। বলতে গেলে আমরা কোচের আশা ছেড়েই দিয়েছি।’
বাংলাদেশ কি তাহলে আসলেই বড় দল হয়েছে? বড় দলই যদি হবে তাহলে ভালো কোচ কেন আসছেন না- অনেকেই এমন প্রশ্ন তুলছেন। চন্ডিকা হাথুরুসিংহেকে নিয়োগ দেয়ার সময়েই বোর্ড বুঝেছিল কোচ পাওয়া কত কঠিন। পারিশ্রমিক ও ছুটির সুবিধা বাদেও বড় কোচদের বাড়তি চাহিদা থাকে যেগুলো বাংলাদেশের কন্ডিশনে পূরণ করা কঠিন।
ওই পরিচালক বলেন, ‘কোচ নিয়োগ নিয়ে আমরা হতাশ। হয়তো কোর্টনি ওয়ালশকে নিয়েই সামনের কয়েকটি সিরিজে কাজ চালাতে হবে। তারপরও আশা রাখতে হয়।’
বাংলাদেশের কোচ হওয়ার জন্য রিচার্ড পাইবাস ও ফিল সিমন্স সাক্ষাৎকার দিয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু তাদের নিয়োগের পক্ষে ছিল না বিসিবি ও খেলোয়াড়রা। সিমন্স এরই মধ্যে অন্য চাকরি পেয়ে গেছেন।
পরে গ্যারি কারস্টেন, পল ফারব্রেসসহ আরও কয়েকজনের নাম এসেছিল। কিন্তু দুয়ে দুয়ে চার কিছুতেই মিলছে না।