শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
সুদর্শন পুরুষের স্ত্রী হতে তো সব নারীই চান। কিন্তু সুদর্শন পুরুষই হতে পারেন নারীর স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। এমনটাই জানিয়েছেন গবেষকরা। ইটিং ডিজঅর্ডার বর্তমান সময়ের একটি সাধারণ সমস্যা। ফিগার ঠিক রাখতে খাওয়া দাওয়া ছেড়ে দেন অনেক নারীই। ফ্লোরিডা স্টেট ইউনিভার্সিটির একটি গবেষণায় জানা গেছে যে ইটিং ডিজঅর্ডারের পেছনের অন্যতম কারণ হলো হীনমন্যতা। জরিপে দেখা গেছে, এই সমস্যায় আক্রান্ত অধিকাংশ নারী মনে করেন তাদের স্বামী দেখতে তাদের চাইতে অনেক বেশি আকর্ষণীয়। আর তাই খাওয়া-দাওয়া ছেড়ে ফিট থাকতে চান তারা। গবেষণায় দেখা গেছে যে যেই স্ত্রীরা ক্রাশ ডায়েট করেন স্লিম থাকার জন্য তাদের বেশিরভাগই পুষ্টির অভাবের কারণে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন। এছাড়াও বিষণ্ণতা, দুশ্চিন্তা এবং অতৃপ্তির মতো মানসিক সমস্যাতেও আক্রান্ত তারা। গবেষকরা লক্ষ্য করেছেন যে এধরণের প্রবণতা পুরুষদের মাঝে খুব কম। স্ত্রী আকর্ষণীয় হলে স্বামীরা সাধারণত হীনমন্যতায় ভুগে ইটিং ডিজঅর্ডারে ভোগেন না। ডালাস-এর ১১৩টি নতুন বিবাহিত জুটির উপর জরিপ চালিয়েছে গবেষক দলটি। তাদের সবারই বিয়ের মেয়াদ সর্বোচ্চ ৪ মাস এবং বয়স ২০ এর বেশি। প্রত্যেক অংশগ্রহণকারী বেশ বড় একটি প্রশ্নোত্তর পূরণ করেছেন যেটাতে তাদের দেহের সঙ্গে খাদ্যাভ্যাসের সম্পর্ক বিষয়ক প্রশ্ন ছিল। গবেষণার মূল লেখক তানিয়া রেনল্ড বলেন, ‘নারীরা যদি বুঝতেন যে তাদের এধরণের অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস তাদের সম্পর্কেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে, তাহলে তারা নিজেদেরকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারতেন।’ তানিয়া রেনল্ডের মতে, এই সমস্যা থেকে নারীদের মুক্ত করার একটাই উপায় আছে। স্বামীদের উচিত স্ত্রীর প্রশংসা করা। স্ত্রীর দেহের গড়ন যেমনই হোক, সেটাকেই সুন্দর বলা উচিত সবসময়। এতে স্ত্রী হীনমন্যতায় ভুগে ক্রাশ ডায়েটের মতো ক্ষতিকর অভ্যাস গড়ে তোলার সম্ভাবনা কমে যাবে।