শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৪১ অপরাহ্ন
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্ত বাংলা সাহিত্যের আকাশে এক উজ্জ্বল নক্ষত্র। কালজয়ী এ সাহিত্যিকের লেখনীতে ফুটে উঠেছে বাঙালির স্বজাত্যবোধ ও স্বাধীনচেতা মনোভাব।
মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী একথা বলেন।
উল্লেখ্য, মধুসূদন দত্তের ১৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ২০ জানুয়ারি (শনিবার) থেকে যশোরের কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়িতে শুরু হচ্ছে সপ্তাহব্যাপী মধুমেলা। চলবে ২৬ জানুয়ারি পর্যন্ত।
মাইকেল মদুসূদন দত্ত ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি কেশবপুর উপজেলার সাগরদাঁড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। ১৮৭৩ সালের ২৯ জুন কলকাতায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের অনন্য সাহিত্যকর্ম বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের অমূল্য সম্পদ। পুরাতন ধ্যান-ধারণা ও মূল্যবোধকে উপেক্ষা করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে নবজীবন দান করেছেন। তিনি আমাদের বিচিত্র কাব্য-সম্ভার উপহার দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, মাতৃভাষার প্রতি অনুরাগী মধুসূদন দত্ত বাংলা ভাষায় মহাকাব্য রচনা এবং বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দ প্রবর্তনের পথিকৃৎ। বিশ্ব সাহিত্যের ভা-ারে প্রবেশ করে মণি-মুক্তা আহরণ করে তিনি বাংলা সাহিত্যকে সমৃদ্ধ করেছেন। নাটক, প্রহসন, মহাকাব্য, পত্রকাব্য, সনেট, ট্রাজেডিসহ সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় তাঁর অমর সৃষ্টি বাংলা ভাষা ও সাহিত্যকে উন্নত মর্যাদার আসনে প্রতিষ্ঠিত করেছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের প্রতি উৎসর্গকৃত শ্রদ্ধাস্মারক ‘মধুকর’ প্রকাশের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, এ শ্রদ্ধাস্মারক কবির অনন্য সাহিত্য প্রতিভা ও দেশাত্মবোধ নতুন প্রজন্মের কাছে পৌঁছে দিতে প্রশংসনীয় ভূমিকা রাখবে।
তিনি বলেন, ‘বাংলা সাহিত্যের প্রবাদ পুরুষ মহাকবি মাইকেল মধুসূদন দত্তের ১৯৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে যশোর জেলার সাগরদাঁড়িতে ৭-দিনব্যাপী ‘মধুমেলা’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জেনে আমি আনন্দিত। এ উপলক্ষে আমি সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।’
প্রধানমন্ত্রী কবির স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে ‘মধুমেলা ২০১৮’-এর সার্বিক সাফল্য কামনা করেন।