ক্রীড়া ডেস্কঃ পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো ভালোই বিপদে পড়েছেন। প্রায় ১০ বছর আগে সংঘটিত একটি ধর্ষণের অভিযোগে এবার তার ডিএনএ টেস্ট হবে। তদন্তের অংশ হিসেবে জুভেন্তাস ফরোয়ার্ডের ডিএনএ নমুনা চেয়ে পরোয়ানা জারি করেছে লাস ভেগাসের পুলিশ। রোয়ানাটি সম্প্রতি ইতালিতে কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে দি ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।

গত অক্টোবরে জার্মান সাময়িকী ডের স্পিগেল এই ধর্ষণের খবর প্রচার করে। ক্যাথরিন মায়োরগা নামের ওই তরুণীকে ২০০৯ সালে লাস ভেগাসের একটি হোটেলে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেন রোনালদো। এসময় তিনি বিকৃত অ্যানাল সেক্সও করতে বাদ রাখেননি। ঘটনা ঘটার অল্প সময়ের মধ্যে লাস ভেগাসের পুলিশকে জানিয়েছিলেন মায়োরগা। কিন্তু ঘটনাটি তখন চাপা পড়ে যায়। গত কয়েকমাস ধরে শুরু হওয়া #মিটু আন্দোলনের মাঝে নতুন করে বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।

জার্মান সাময়িকীর প্রতিবেদনটিতে আরও বলা হয়, ২০১০ সালে আদালতের বাইরে রোনালদোর সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে একটি সমঝোতায় পৌঁছান মায়োরগা। তিন লাখ ৭৫ হাজার ডলারের বিনিময়ে কখনও এই অভিযোগ প্রকাশ না করার ব্যাপারে রাজি হন তিনি। মায়োরগার আইনজীবীরা এখন ঘটনাটি জনসম্মুখে না আনার চুক্তি বাতিল ঘোষণা করতে চাইছে। লাস ভেগাসের পুলিশ জানায়, অন্যসব ধর্ষণের তদন্তের ক্ষেত্রে যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়, রোনালদোর বিষয়েও একই পদক্ষেপ নিচ্ছে তারা।

এই ডিএনএ নমুনা চাওয়ার বিষয়ে ৩৩ বছর বয়সী রোনালদোর আইনজীবী পিটার এস ক্রিস্টিয়েনসেন বলেছেন, ‘ক্রিশ্চিয়ানো সবসময়ই যেটা বলে এসেছেন আজও সেটাই বলেছেন। ২০০৯ সালের লাগ ভেগাসের হোটেলে যেটা ঘটেছিল, সেটা পারস্পরিক সমঝোতায় হয়েছিল। তাই (সেখানে) তার ডিএনএ পাওয়াটা বিস্ময়কর নয়। তদন্তের অংশ হিসেবে পুলিশ যে অনুরোধ করেছে সেটাও স্বাভাবিক।’