বুধবার, ০৫ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:১৯ অপরাহ্ন

ঠাকুরগাঁওয়ে ভুল অপারেশনে স্কুল ছাত্রীর মৃত্যু; ডাক্তার পলাতক!

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ মার্চ, ২০১৯
  • ৪২১

অন্তর রায় প্রিন্স, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : ঠাকুরগাঁওয়ে ভুল অপারেশনে আতিকা ইসলাম (৯) নামে তৃতীয় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।শনিবার দিবাগত রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের এলিজা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের অপারেশন থিয়েটারে এ ঘটনা ঘটে।

আতিকা ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নের গোয়ালকারী গ্রামের আতিকুর রহমানের মেয়ে। সে ডাঙ্গীবাজারে বিপ্লব মেমোরিয়াল স্কুলের তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী। আতিকা ইসলামের বাবা আতিকুর রহমান অভিযোগ করেন, কিছুদিন আগে স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে ইজিবাইকের ধাক্কায় আতিকার পা ভেঙ্গে যায়। ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতালে ১৩ দিন চিকিৎসা করার পরে তাকে বাসায় নিয়ে আসা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হলে পায়ের অপারেশন করার জন্য গত বৃহস্পতিবার তাকে শহরের এলিজা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে ভর্তি করানো হয়। শনিবার রাতে পায়ের অপারেশন করতে অপারেশন থিয়েটারে নেন ওই ক্নিনিকের ডাক্তার আবু বক্কর সিদ্দিক দিপু ও এনেসথেসিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তার মনির। প্রায় তিনঘন্টা অপারেশন থিয়েটারে অস্ত্রোপচারের পর তাদের কিছু না জানিয়েই ডাক্তার আবু বক্কর সিদ্দিক দিপু ও ডাক্তার মনির ক্লিনিক থেকে পালিয়ে যায়। পরে ক্লিনিক কতৃপক্ষ আতিকাকে মৃত অবস্থায় তাদের হস্তান্তর করে। তিনি আরো বলেন, অপারেশনের সময় আতিকাকে অতিরিক্ত এনেসথেসিয়ার (অজ্ঞান) ঔষধ প্রয়োগ করার কারণেই তার মৃত্যু হয়েছে। কারণ অপারেশনের জন্য মেয়েকে অজ্ঞান করলে তার আর জ্ঞান ফেরাতে পারেনি ওই ক্নিনিকের ডা. আবু বক্কর সিদ্দিক দিপু ও এনেসথেসিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তার মনির। এ ব্যাপারে এলিজা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের মালিক ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা দারাজ আলীকে তার অফিসে পাওয়া যায়নি। অন্যদিকে ডাক্তার আবু বক্কর সিদ্দিক দিপু ও এনেসথেসিয়া (অজ্ঞান) ডাক্তার মনির পলাতক থাকায় তাদের মুঠো ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। তবে ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন ডা: আবু মো: খায়রুল কবীর জানান, শহরের গোয়াল পাড়ায় অবস্থিত এলিজা নার্সিং হোম এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার নামে যে ক্লিনিকটি রয়েছে তার কোন বৈধ কাগজ পত্র নেই। কিছুদিন পূর্বেও সে ক্লিনিকে তিনি সহ জেলা প্রশাসনের ভ্রাম্যমান আদালত গিয়ে ক্লিনিকটিকে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছিল। কিন্তু কোন অদৃশ্য শক্তির কারণে ক্লিনিক কতৃপক্ষ আবারো নিজের ক্ষমতায় ক্লিনিকটি চালু করে।এবিষয়ে জেলা প্রশাসন কে অবগত করা হয়েছে। আর শিশু মৃত্যুর ঘটনায় ৩ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে ক্লিনিক কতৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট ডাক্তারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঠাকুরগাঁও সদর থানার ওসি আশিকুর রহমান জানান, শিশুটির পরিবারের লোকজন থানায় এখন পর্যন্ত কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com