শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন
অন্তর রায় প্রিন্স, ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি : শহীদ মিনারের দিকে তাকালেই মনে হয় যেন, রক্তে ভেজা একটি জাতি, একটি দেশ দাঁড়িয়ে আছে।৫২’র ২১ ফেব্রুয়ারির কথা মনে আসলে আজও বাঙালি জাতির চোখ ছলছল করে ওঠে। অথচ ঝড়ের কবলে পড়ে এই শহীদ মিনার ভেঙ্গে পড়ে আছে অর্ধমাস ধরে, সেদিকে যেন কারও কোন খেয়াল নেই। গত ১৬ এপ্রিল(মঙ্গলবার) দিবাগত রাতে ঝড়ে ভেঙ্গে পড়ে একটি আমগাছ।আর এই আমগাছ ভেঙ্গে পড়ে শহীদ মিনারের উপর এতে শহীদ মিনারও ভেঙ্গে যায়।ঘটনার ১৫ দিনেও সরানো হয়নি ভেঙ্গে পড়া আমগাছ,মেরামত হয়নি শহীদ মিনার।অদৃশ্য কারণে ভেঙ্গে পাড়া আমগাছটি সেখানেই রয়েছে আজও।ঘটনাটি ঠাকুরগাঁও শহরের প্রাণকেন্দ্র আশ্রমপাড়া’র জ্বরাজীর্ণ শিশুপার্কের। আশ্রমপাড়ার প্রাণকেন্দ্র শিশুপার্ক।আর সেই শিশুপার্কের ভেতরেই এলাকাবাসীর প্রাণস্পন্দন এই শহীদ মিনার।এমনিতেই শিশুপার্কটি ছোট্ট একটি জায়গায় তার উপর নেই শিশুদের জন্য প্রয়োজনীয় ইভেন্ট।শহীদ মিনারটি ভেঙ্গে এমনিতেই এলাকাবাসী মনোকষ্ট নিয়ে আছে।উপরন্তু গাছটি ভেঙ্গে অনেকখানি জায়গা দখল করে আছে কোমলমতি শিশুদের খেলার। এদিকে আরও কমপক্ষে ২/৩ টি গাছ ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে।ভেঙে পড়তে পারে সামান্য ঝড়েই।সেই অনুযায়ী ঝুঁকিতে আছে শিশুপার্কের উপর দিয়ে যাওয়া এগারো হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের তার।যখন তখন বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে সেখানে।সেদিকে কোন ভ্রুক্ষেপ নেই পৌর কর্তৃপক্ষের। আমিনুল ইসলাম নামের স্থানীয় একজন ফেসবুকে লিখেছেন,এই শহীদ মিনার তৈরী করতে আমরা দূর থেকে ইট বয়ে এনেছি।অথচ আজ কারও গুরুত্ব নেই। আকাশ নামের একজন লিখেছেন,শহীদ মিনার ভেঙ্গে পড়লে নিউজ হয়না।অথচ নেশারু ল্যাট্রিনে ঘুমিয়ে পড়লেও ব্রেকিং নিউজ হয়।এমনই অনেকেই অভিযোগের সাথে সাথে লিখেছেন আবেগের কথা। এব্যাপারে জানার জন্য পৌর মেয়রকে পাওয়া না গেলেও ০৮নং ওয়ার্ড পৌর কাউন্সিলর নুর ইসলাম নুরু জানান, আমরা পৌরসভা থেকে ইতিমধ্যে জেলাপ্রশাসকের তিনিধি চেয়ে আবেদন করে টেন্ডারের জন্য মাইকিংও করেছিলাম।কিন্তু স্থানীয় এক জনপ্রতিনিধির বাধার কারণে টেন্ডার করতে পারিনি।তবে খুব শীঘ্রই শহীদ মিনার সংস্কার ও গাছ অপসারণের ব্যবস্থা করা হবে।