সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: টানা বৃষ্টিতে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের ঝুপড়ি পানিতে তলিয়ে গেছে। রান্না করে খাওয়া তো দূরের কথা, এক মুহূর্তও অবস্থান করা যাচ্ছে না সেখানে। পাহাড়ের পাদদেশে ঝুপড়ির মতো বসতঘর বানিয়ে রোহিঙ্গারা এখন মানবেতর দিন পার করছেন। সেই সঙ্গে পাহাড় ধসের আশঙ্কাও করছেন তারা।
শনিবার (৬ জুলাই) দিবাগত রাত থেকে একাধারে টানা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়েছেন রোহিঙ্গারা। পলিথিনে বানানো তাঁবুগুলোতে পানি ঢুকে পড়েছে।
কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবির পরিদর্শন করে দেখা গেছে, বৃষ্টির পানিতে কোথাও কোথাও হাঁটু সমান পানি। চলাফেরা করতে গিয়ে রোহিঙ্গা শিশু, নারী-পুরুষ চরম দুর্ভোগে পড়ছেন।
রোহিঙ্গাদের বাসস্থান তৈরি ও গাছকাটাসহ অন্যান্য কারণে ওই এলাকার প্রায় ছয় হাজার একর বনভূমি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় বেড়েছে পাহাড় ধসের ঝুঁকি। পাহাড় ধস এবং বন্যার ঝুঁকি দেখা দেওয়ায় আতঙ্কে দিন কাটছে রোহিঙ্গাদের। অবিরাম বৃষ্টির সঙ্গে পাহাড়ি ঢল। এতে ঝুঁকিতে পড়েছেন উখিয়া ও টেকনাফে আশ্রয় নেওয়া ১১ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা। পানিতে তলিয়ে গেছে কয়েকটি আশ্রয় শিবির। দুর্ভোগের পাশাপাশি পাহাড় ধসের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন রোহিঙ্গারা।
কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা আবদুল জলিল বলেন, বৃষ্টির কারণে পাহাড় ধসে ঘরবাড়ি নিচে নেমে যাচ্ছে। তাঁবুর ছিদ্র দিয়ে ঘরে পানি পড়ে ভিজে যাচ্ছে। আমরা ঘর থেকে বের হতে পারছি না।
একই ক্যাম্পের বাসিন্দা কলিম উল্লাহ বলেন, আমার ঘর ৯ নম্বর ক্যাম্পের ছড়ার পাশে। বৃষ্টি হলেই পাহাড় ভেঙে নিচে পড়ছে। খুব আতঙ্কে আছি। বাড়ি ঘরে ঘুমানোর ব্যবস্থা নেই। রাস্তাঘাটে চলাফেরা করতে খুব সমস্যা হচ্ছে।
উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ নিকারুজ্জামান জানান, এরই মধ্যে অতি ঝুঁকিপূর্ণ ৫০ হাজারের অধিক রোহিঙ্গাকে নিরাপদ জায়গায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বাকিদের পর্যায়ক্রমে সরিয়ে নেওয়ার কাজ চলমান রয়েছে। কম ঝুঁকিপূর্ণ রোহিঙ্গাদের ঘর শক্তভাবে মেরামত করা হয়েছে বলে জানালেন এ কর্মকর্তা। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।