সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩১ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাভারে সপ্তম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ১৩ বছরের ওই ছাত্রীকে অভিযুক্ত রাব্বি মিয়া (২০) নামে এক বখাটে তার বন্ধুর বাসায় নিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগে জানা যায়।
এ ঘটনায় প্রধান অভিযুক্তকে না পেয়ে পুলিশ তার বাবা লেয়াজ উদ্দিন (৫৫) ও ধর্ষণ কাজে সহাযোগিতা করায় বন্ধু শাহরিয়ার জিমকে (২২) আটক করেছে। ওই ছাত্রীর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আটক করে।
আটককৃতরা সাভার পৌর এলাকার নামা গেন্ডা এলাকার বাসিন্দা। ধর্ষণের মূল হোতা রাব্বি মিয়া পলাতক রয়েছে। পুলিশ রাব্বি মিয়াকে গ্রেপ্তার করতে তার বাবাকে কৌশলগত কারণে আটক করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, ওই শিক্ষার্থী সোমবার বিকেলে তাদের বাড়ির সামনে খেলা করছিল। এসময় তার প্রতিবেশী দূর সম্পর্কের চাচাতো ভাই রাব্বি তাকে ঘুরতে নিয়ে যাবে বলে প্রলোভন দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী বন্ধু শাহরিয়ার জিমের বাসায় নিয়ে যায়। পরে সেখানে রাব্বি তাকে ধর্ষণ করে। এসময় ওই শিক্ষার্থীর চিৎকারে আশপাশের লোকজন ঘটনাস্থলে এসে তাকে উদ্ধার করে। পরে বিষয়টি ওই শিক্ষার্থী তার বাবা-মাকে জানালে তার বাবা রাব্বিকে প্রধান আসামি এবং ধর্ষণ কাজে সহাযোগিতা করায় তার বন্ধু শাহরিয়ার জিমের নাম উল্লেখ করে সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
সাভার মডেল থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মাহবুল হক রনি ঘটনা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত পলাতক থাকায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তার বাবা লেয়াজ উদ্দিনকে এবং ঘটনায় সহাযোগিতা করায় রাব্বির বন্ধু শাহরিয়ার জিমকেও আটক করা হয়েছে। অভিযুক্ত রাব্বি মিয়া পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটকের চেষ্টা চালাচ্ছে পুলিশ। এছাড়া ওই ছাত্রীকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে প্রেরণ করা হয়েছে।