শুক্রবার, ০১ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২২ অপরাহ্ন
ডেস্ক নিউজ: সংগঠনটির নাম ‘সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ’। লায়ন মতিউর রহমান টিপু এবং প্রকৌশলী এম আই তনয় সংগঠনটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিয়ে থাকেন। তবে অনুমোদনহীন এই সংগঠনটি দীর্ঘদিন ধরে সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার উদ্দেশ্যে সরকারবিরোধী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের অপপ্রচার চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানা যায়।
র্যাবের কাছে অভিযোগ আসে এবং অনুসন্থধানে সত্যতা মেলে, সংগঠনটি বিভিন্ন সময়ে সরকারবিরোধী গুজব তৈরি ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে সারা দেশে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ দেখা দেওয়ায় সংগঠনটি জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির লক্ষ্য ডেঙ্গু জ্বরকে ‘মহামারী ও সংকট’ হিসেবে চিহ্নিত করে জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি করার লক্ষ্যে ব্যানার, লিফলেট ও সোশ্যাল মিডিয়ায় বিভিন্ন অপপ্রচার চালাচ্ছে। এরই প্রেক্ষিতে বর্ণিত সংগঠনের সদস্যদের আইনের আওতায় অনার লক্ষ্যে র্যাব ১ গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে।
এরই ধারাবাহিকতায় ৬ আগস্ট র্যাব ১ এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারে যে, রাজধানীর বিমানবন্দর থানাধীন কাওলা বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন উত্তরা হতে মহাখালীগামী মহাসড়কের পূর্ব পার্শ্বে কাওলা ওভার ব্রিজের নিচে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ’ নামক ব্যানার লাগিয়ে কতিপয় ব্যক্তি ডেঙ্গু জ্বরকে ‘মহামারী ও সংকট” হিসেবে চিহ্নিত করে অপপ্রচার চালাচ্ছে। প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি বর্ণিত স্থানে অভিযান পরিচালনা করে মাদক কারবারি মো. মতিউর রহমান টিপু (৪০) ও প্রকৌশলী এম আই তনয় (৩০) কে গ্রেপ্তার করে। এ সময় তাদের নিকট থেকে ‘সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ’ এর ঈদ শুভেচ্ছা লেখা ৫টি টেবিল ক্যালেন্ডার, সংগঠনের কেন্দ্রীয় কমিটির ৪টি প্রেস বিজ্ঞপ্তি ও ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়।
আটক আসামীরা বর্ণিত সংগঠনের অনুমোদন আছে কি-না জানতে চাইলে তারা এসংক্রান্ত কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। এ ছাড়াও জব্দকৃত প্রেস বিজ্ঞপ্তিগুলো পর্যলোচনা করে দেখা যায় যে, সেখানে ডেঙ্গু জ্বরকে ‘মহামারী ও সংকট’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তাদেরর ব্যবহৃত মোবাইল ফোন থেকে ‘কেন্দ্রীয় কমিটি সজীব ওয়াজেদ জয় পরিষদ’ নামক ফেসবুক ও মেসেঞ্জারে গ্রুপে ডেঙ্গু জ্বরকে ‘মহামারী ও সংকট’ হিসেবে প্রচার করা হয়েছে। ডেঙ্গু জ্বরকে সরকার কর্তৃক ‘মহামারী ও সংকট’ হিসেবে ঘোষণা না করলেও তারা সরকারের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করার হীন প্রয়াসে এবং জনমনে ভীতি ও আতঙ্ক সৃষ্টি করার উদ্দেশ্যে সংগঠনের ফেসবুক ও ম্যাসেঞ্জার গ্রুপে ওই বিজ্ঞপ্তি আপলোড করে তাদের থানা ও জেলার কমিটিতে শেয়ার করে ছড়িয়ে দিয়েছে।
উদ্বারকৃত আলামত ও গ্রেপ্তারকৃত আসামিদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।