শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৪ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে এক অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমকর্মীর বক্তব্যের পর তাকে চ্যালেঞ্জ করে ভুল প্রমাণ হলেন মেয়র সাঈদ খোকন।
ধানমন্ডি ও কলাবাগান এলাকায় সড়ক সংস্কারের জন্য পর্যাপ্ত বরাদ্দ পাওয়া যাচ্ছে না বলে জানিয়েছিলেন ওই সাংবাদিক। তবে মেয়র খোকন বলেছিলেন এটা হতেই পারে না। পরে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর গণমাধ্যমকর্মীর পক্ষেই বললেন। আর পরে মেয়র রাগ ঝেড়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রকৌশলীর ওপর।
রোববার নগর ভবনে ২০১৯-২০ অর্থবছরের বাজেট ঘোষণা ও গত অর্থবছরের বাজেট অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা চলছিল। বরাবর এরপর থাকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের পালা। এ সময় এই ঘটনা ঘটে।
প্রশ্নোত্তর পবেং ওয়ার্ড কাউন্সিলরদের উত্তেজিত হয়ে আক্রমণাত্মক হয়ে উঠার ঘটনা ঘটেছে। পরে মেয়র সাঈদ খোকনের ধমকে থামতে বাধ্য হন তারা।
ফিনান্সিয়াল এক্সপ্রেস পত্রিকার প্রতিবেদক কামরুন নাহার বলেন, ‘আপনি (খোকন) বক্তব্যে দাবি করেছেন যে, আপনার এলাকার ৯০ শতাংশ সড়ক চলাচলের উপযোগী। কিন্তু, বাস্তবতা ঠিক উল্টো।’
প্রশ্নকর্তাকে থামিয়ে দিয়ে মেয়র বলে ওঠেন, ‘আপনি প্রমাণ করতে পারলে যা চাইবেন তাই পুরস্কার দেব।’
প্রতিবেদক বলেন, ‘আমার পুরস্কার লাগবে না। আমি কাঠালবাগান, কলাবাগান এলাকায় থাকি। সেখানে প্রায় পুরো এলাকাতেই সড়কের বেহাল দশা। বিশেষ করে বয়োজ্যেষ্ঠ ও গর্ভবতী নারীদের রিকশা নিয়েও চলাচল করতে কষ্ট হয়।’
‘আপনার কাউন্সিলর ওই এলাকায় উন্নয়নের জন্য কোনো বরাদ্দ পান না বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন।’
মেয়র বলেন, ‘এমনটা হতে পারে না। এখানে ওই এলাকার কাউন্সিলর আছেন। তাকে এখনই জিজ্ঞেস করা হোক।’
কাউন্সিলর আলাউদ্দিন আহমেদ ঢালী তখন সাংবাদিক কামরুন নাহারের বক্তব্যকে সমর্থন করে বলেন, ‘কথা সত্য। আমার এলাকায় রাস্তাঘাট উন্নয়নে বরাদ্দ পাচ্ছি না।’
সাঈদ খোকন তখন ওই এলাকার (অঞ্চল-১) নির্বাহী প্রকৌশলী শফিউল সিদ্দিক ভূইয়াকে দাঁড় করিয়ে ব্যাখ্যা জানতে চান মেয়র। বলেন, ‘কেন হয়নি? বলুন, আমি আপনাকে বরখাস্ত করব।’
জবাবে শফিউল বলেন, ‘টেন্ডার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
এরপর মেয়র কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করতে বলেন। কারণ সন্তোষজনক না হলে ওই প্রকৌশলীকে বরখাস্তের জন্য অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামানকে নির্দেশও দেন।