সোমবার, ১৬ Jun ২০২৫, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক:একের পর এক প্রশ্নে জর্জরিত হয়ে সাংবাদিককে তীব্র ভাষায় ভর্ৎসনার পাশাপাশি অভিশাপ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও।
এসময় প্রশ্নকারী নারী সাংবাদিকের প্রতি চিৎকার-চেঁচামেচি, ক্রুদ্ধ দৃষ্টি ও কটু-অশোভন ভাষাও ব্যবহার করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের এই শীর্ষ কূটনীতিক।
এমন একসময় তিনি মেজাজ হারালেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিশংসনের বিচার চলছে সিনেটে।
সাক্ষাৎকারে তাদের অধিকাংশ কথাই হয়েছে ইরান নিয়ে। কিন্তু শেষে এসে ইউক্রেন নিয়ে পম্পেওকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিক মেরি লুইস কেলি।
প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ট্রাম্পের সম্ভাব্য প্রতিদ্বন্দ্বী জো বাইডেনের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে কিয়েভকে চাপে রাখতে ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন তিনি। বিরোধী ডেমোক্র্যাটদের এমনটিই অভিযোগ।
ইউক্রেনে ওয়াশিংটনের সাবেক রাষ্ট্রদূত মারিয়া ইয়োভানোভিচকে সুরক্ষা দিতে ব্যর্থতার অভিযোগ রয়েছে ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ সহচর পম্পেওর বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্টের ব্যক্তিগত আইনজীবী রুডি গিলিয়ানির নোংরা প্রচারের শিকার হওয়ার পর গত বসন্তে ওই রাষ্ট্রদূতকে আকস্মিকভাবে যুক্তরাষ্ট্রে ফেরত আনা হয়েছে।
পম্পেওর কাছে সাংবাদিক কেলির প্রশ্ন ছিল– মারিয়া ইয়োভানোভিচের কাছে দুঃখপ্রকাশ করা কি আপনার দায়িত্ব ছিল না? এর পর উত্তেজনাপূর্ণ বাক্যবিনিময়ের পর পম্পেও বলেন, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতিটি কর্মকর্তাকে সমর্থন করেছেন তিনি।
তখন কেলি রাকঢাক না রেখেই প্রশ্ন করেন, কখন আপনি প্রকাশ্যে মারিয়াকে সমর্থন দিয়েছেন? জবাবে পম্পেও বলেন, আজ আমি যা বলতে যাচ্ছি, তার সবই বলে ফেলেছি।
কিন্তু কাহিনি এখানেই শেষ হয়নি। কেলি বলেন, তিনি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ধন্যবাদ দিয়েছেন। কিন্তু কক্ষ থেকে বের হওয়ার আগে পম্পেও তার দিকে ক্রুদ্ধ দৃষ্টিতে তাকিয়েছেন।
এর পর কেলিকে কোনো রেকর্ডার ছাড়াই পম্পেওর ব্যক্তিগত থাকার কক্ষে নিয়ে যান এক কর্মী। সেখানে পম্পেও তার জন্য অপেক্ষায় ছিলেন।
কেলি বলেন, তিনি আমার সঙ্গে চিৎকার-চেঁচামেচি করেন। যতক্ষণ সময় নিয়ে আমি তার সাক্ষাৎকার নিয়েছি, এ ঘটনা ততক্ষণই চলছিল।