রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫৫ পূর্বাহ্ন
আগামী ২৪ মার্চ রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মহাসমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারি সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এই মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। একুশের বইমেলার জন্য মহাসমাবেশের তারিখ পরিবর্তন করে নতুন তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সোমবার রাজধানীর বনানীর জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের রাজনৈতিক কার্যালয় রজনীগন্ধায় অনুষ্ঠিত দলের প্রেসিডিয়াম সভায় এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।
জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন দলটির চেয়ারম্যান সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সভায় জাতীয় পার্টির নেতৃত্বাধীন সম্মিলিত জাতীয় জোটগতভাবে ৩০০ আসনেই নির্বাচন করার প্রস্তুতি গ্রহণ এবং আসন্ন দুটি আসনের উপনির্বাচনে জাতীয় পার্টি অংশগ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়। এছাড়া নির্বাচনী প্রচারণার লক্ষ্যে ঢাকায় মহাসমাবেশের পর থেকে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে সারা দেশে রোডমার্চ এবং লঞ্চমার্চ পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয় বৈঠকে।
বৈঠক শেষে জাতীয় পার্টির মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার সাংবাদিকদের জানান, তারা পুরোমাত্রায় নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন। ৩০০ আসনেই প্রার্থী দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। নির্বাচনের আগে বিভাগীয় জেলা পর্যায় জনসভার আয়োজন করবেন। পার্টি চেয়ারম্যান এসব জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আগামী নির্বাচনে জাতীয় পার্টি ৩০০ আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে। বিএনপি নির্বাচনে এলে জাতীয় পার্টি মহাজোটের সঙ্গে নির্বাচন করবে। তবে তারা নির্বাচনে অংশ না নিলে জাতীয় পাটি আলাদা নির্বাচন করবে।’
সূত্র জানায়, প্রেসিডিয়াম সভায় একাদশ নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত ধারাবাহিক কর্মসূচি রাখার বিষয়ে সিদ্ধান্ত হয়। সভায় উপস্থিত দলটির একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য জানান, মহাসমাবেশের পূর্বেই আমরা কয়েকটি বিভাগীয় সমাবেশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়া মহাসমাবেশের পরে এপ্রিলে লংমার্চ, মে মাসে লঞ্চমার্চ এবং জুন মাসে রেলমার্চ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।
তিনি জানান, সভায় মহাসমাবেশের বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন নিয়েও কথা হয়েছে। প্রেসিডিয়াম সদস্য এবং এমপিরাই এ সমাবেশের সিংহভাগ ব্যয়বহন করবেন।
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, এমএ সাত্তার, জিয়া উদ্দিন আহমেদ বাবলু এমপি, মো. আবুল কাশেম, অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খান, অ্যাডভোকেট সালমা ইসলাম এমপি, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, গোলাম কিবরিয়া টিপু, আলহাজ সাহিদুর রহমান, অধ্যাপিকা মাসুদা এম রশীদ চৌধুরী, নুর-ই-হাসনা লিলি চৌধুরী এমপি, সৈয়দ মোহাম্মদ আব্দুল মান্নান, একেএম মাঈদুল ইসলাম এমপি, মাসুদ পারভেজ (সোহেল রানা), সুনীল শুভরায়, এস এম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরী, হাজী সাইফুদ্দিন আহমেদ মিলন, মো. আজম খান, এ টি ইউ তাজ রহমান, অ্যাডভোকেট মহসিন রশীদ, মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি, সোলায়মান আলম শেঠ, নাসরিন জাহান রতনা এমপি, আব্দুর রশিদ সরকার, মেজর (অব.) খালেদ আখতার, মুজিবর রহমান সেন্টু, ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার এবং আলহাজ সফিকুল ইসলাম সেন্টু সভায় উপস্থিত ছিলেন।