শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২৫ অপরাহ্ন
জনি সাহা : লক্ষ্মীপুরে সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের প্রায় ২২ কোটি টাকা বরাদ্দ ১৯ কিঃ মিঃ একটি সড়ক সংস্কার কাজের অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। জানা যায়, হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ লক্ষ্মীপুরের প্রায় ৮ কিঃ মিঃ সড়কে ৭০ শতাংশ পাথর ও ৩০ শতাংশ বালু দিয়ে রুলিং করার কথা থাকলেও তা মানছেন না কর্মকর্তা ও সুযোগসন্ধানী ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। পুরানো এ সড়কটির কার্পেটিং উঠিয়ে দিয়ে তা পুনরায় রুলিং করা হচ্ছে। এছাড়াও আরো জানা গেছে দুর্নীতিতে ডাকা লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের কর্মকর্তাদের ইশারাতে দায়সারা ভাবে নতুবা লোক দেখানো কাজ করে ইতিমধ্যে বরাদ্দকৃত অর্ধেকেরও বেশি টাকা উত্তোলন করেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে ওই লোকজন সড়কটির সংস্কার কাজে এবং নিয়মমাফিক কাজ না করার কারণে ক্ষুদ্ধ হয়ে কাজ বন্ধ করে দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকা লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী-২ আমির খান এলাকার মানুষের তোপের মুখে পড়ে গাঁ বাচিয়ে সরে পড়েন। জেলা সড়ক ও জনপথ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গেল বছর হাজীগঞ্জ রামগঞ্জ সড়কের ১৯ কিঃ মিঃ সড়কের সংস্কার করার জন্য সরকার ২১,৯২,৩৩,০০০ টাকা বরাদ্দ দেয়। কাজের টেন্ডারটি পাওয়া ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সহিদ ব্রাদার্স ও ইউনুছ ব্রাদার্স প্রাইভেট লিঃ মার্চের মধ্যে কাজটি সম্পন্ন করার নির্দেশ কাগজে পত্রে থাকলেও প্রায় ৮ কিঃ মিঃ সড়ক ৬ ইঞ্চি বেস্টেক ওয়ান এবং ২ ইঞ্চি বাউন্ডার, ওভারলে ৪০ মিলি ধরা রয়েছে এমনকি রাস্তার পাশে মাটি দেওয়ার জন্য এস্টিমেটে ধরা হয়েছে ২৫,২৪,০৬৮ টাকা। কিন্তু সরজমিনে গিয়ে সত্যতার কিছু পাওয়া যায়নি। কার্পেটিং কাজে ধরা হয়েছে ২০,৮৫,৫৬,৫২২/-টাকা। কিন্তু সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, যে কার্পেটিং এর আইটেমে কার্পেটিং কাজে সিডিউলে যে পরিমাণ পুরুত্ব ধরা হয়েছে বাস্তবে তার অর্ধেকও করা হইতেছে না। সিডিউলের সাথে বাস্তব কাজের কোন মিল না থাকায় এলাকার মানুষের মাঝে অসোন্তষ দেখা দিয়েছে। যা তদন্ত করলে সতত্যতা পাওয়া যাবে বলে জানায় এলাকার জনগণ। তছাড়া রাস্তার পাশে এজিং-এ নতুন ইট ধরার কথা থাকলেও পুরাতন ইট দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। লক্ষ্মীপুর সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুব্রত বলেন, ঘটনাস্থলে গিয়ে আমি অনিয়মের বিষয়টি দেখতে পেয়ে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কাজটি ভালভাবে করার নির্দেশ দিয়েছি।
কার্টেসি : নাজিম উদ্দিন রানা