সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩০ অপরাহ্ন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে (কোভিড-১৯) মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪৮৩ জনে দাঁড়িয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ১ লাখ ৮৪০ জন। এর মধ্যে চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮০ হাজার ৬৫১ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ৭০ জন। অন্যদিকে, এখন পর্যন্ত সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ৫৫ হাজার ১৯০ জন।
শনিবার (৭ মার্চ) চীনের মধ্যপ্রদেশ হুবেইয়ের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলো এ তথ্য জানিয়েছে।
আক্রান্তদেরও অধিকাংশই চীনা নাগরিক। আক্রান্ত ও প্রাণহানির দিক দিয়ে চীনের পরের অবস্থানে রয়েছে ইতালি ও ইরান।
খোদ যুক্তরাষ্ট্রেই এ ভাইরাসে এখন পর্যন্ত অন্তত ১৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে গুগল, ফেসবুক, আমাজন ও মাইক্রোসফট সিয়াটল এলাকার কর্মীদের বাসায় বসে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছে। সিয়াটলের লক্ষাধিক মানুষ আপাতত বাসা থেকে অফিস করবেন।
এরমধ্যেই শুক্রবার নতুন করে আরও ছয়টি দেশে এই ভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। ইতালিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ১৯৭ জনে দাঁড়িয়েছে। ইরানে মারা গেছেন ১২৪ জন। ব্রাসেলসে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) সদর দফতরে সব ধরনের বৈঠক বাতিল করা হয়েছে। আগামী ২৩ মার্চ পর্যন্ত ইইউ সদর দফতরে কোনও বৈঠক আয়োজন করা হবে না। দেশটির পার্লামেন্ট ব্রাসেলসের বেশিরভাগ সরকারি অফিসের ভেতরে ও বাইরে জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। মানুষকে যত বেশি সম্ভব বাড়ির ভেতরে থাকার নির্দেশ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
খবরে বলা হয়, চীনের বাইরে সবচেয়ে বেশি আক্রান্তের সংখ্যা দক্ষিণ কোরিয়ায়। তবে সেখানে ইতালি ও ইরানের চেয়ে মৃত্যুর হার কম। দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬ হাজার ৫৯৩ জন আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন ৪২ জন।
সার্স ও মার্স পরিবারের সদস্য করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে ফ্লুর মতো উপসর্গ নিয়ে যে রোগ হচ্ছে তাকে বলা হচ্ছে কভিড-১৯। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, এখন পর্যন্ত এ রোগে মৃত্যুহার ৩.৪ শতাংশ, যেখানে মৌসুমী ফ্লুতে মৃত্যুহার থাকে ১ শতাংশের নিচে। তবে করোনায় ৯ বছরের নিচের কেউ মারা যায়নি। প্রবীণদের মধ্যেই মৃত্যুহার বেশি।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলছে, চীনে যে গতিতে সংক্রমণ ছড়িয়েছে, চীনের বাইরে এই সংক্রমণ ১৭ গুণ বেশি। পরিস্থিতির ভয়াবহতা সম্পর্কে সংস্থার মহাপরিচালক টেড্রস অ্যাডানম গেব্রেয়েসুস বলেছেন, এ ভাইরাসকে যে কোনো উপায়ে ঠেকাতে হবে। এটা আত্মসমর্পণের সময় নয়। কোনো অজুহাতের সময় নয়। কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এই কঠিন পরিস্থিতির বিরুদ্ধে সবাইকে রুখে দাঁড়াতে হবে।