রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০২:২০ পূর্বাহ্ন
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন বিচারিক আদালত। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ মামলার অপর ৫ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়। সেই সাথে ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
পুরান ঢাকার বকশিবাজারের আলিয়া মাদ্রাসা মাঠ স্থাপিত বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে এ রায় দেন। ১১টি বিষয় বিবেচনা নিয়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সাজা দেয় আদালত। এ মামলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়।
এর আগে সকাল সোয়া ১০টার দিকে আদালতের আসেন বিচারক মোঃ আখতারুজ্জামান। তবে দুপুর পৌনে ২টায় কড়া পুলিশি পাহারায় আদালতে পৌঁছান খালেদা জিয়া। বেলা ১টা ৫০ মিনিটে এজলাসে আসেন খালেদা। পরে দুপুর ২টা ১০ মিনিটি এজলাসে আসেন বিচারক। এর পরপরই ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় পড়া শুরু করেন বিচারক। এ সময় রায়ের উল্লেখযোগ্য অংশ পড়ে শোনান আদালত।
এই মামলার বাকি আসামিরা হলেন- মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
গত ২৫ জানুয়ারি রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য ৮ ফেব্রুয়ারি দিন ধার্য করা হয়।
এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন ৩২ জন। ১২০ কার্যদিবসের বিচারকার্য শেষ হয়েছে ২৩৬ দিনে। আত্মপক্ষ সমর্থনে সময় গেছে ২৮ দিন। যুক্তি উপস্থাপন হয়েছে ১৬ দিন এবং আসামিপক্ষ মামলাটির বিভিন্ন বিষয় নিয়ে উচ্চ আদালতে গেছেন ৩৫ বার।
প্রায় ১০ বছর আগে, ২০০৮ সালের জুলাই মাসে সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার দায়িত্বে থাকার সময় এই মামলাটি করেছিল বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।