রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
মোহাম্মদপুরে সন্ত্রাসী রহিম ও তার ছেলের অত্যাচার নির্যাতনে অসহায় এলাকাবাসী উত্তরা ব্যাংকের এমডি রবিউল হোসেনের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও অপসারনের দাবিতে রাজপথে বিল্পবী ছাত্র জনতা ইসরায়েলি বর্বর হামলায় গাজায় নিহতের সংখ্যা ছাড়াল ৪৪ হাজার সেনাকুঞ্জে খালেদা জিয়াকে দেখে কেঁদে ফেললেন মির্জা ফখরুল সশস্ত্র বাহিনী দিবস উপলক্ষে ওসমানী জাতীয় স্মৃতি পরিষদ-এর বিশেষ বাণী জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সদস্য হলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা খ. ম. আমীর আলী ছাত্র বৈষম্য আন্দোলনে আহতদের জন্য আর্থিক সহায়তা নিয়ে পাশে বিএনপি নেতা মোঃ সাইফুল ইসলাম নরসিংদীর মনোহরদীতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞানক্লাব ‘নেবুলাস’-এর যাত্রা শুরু প্রথমবারের মতো সচিবালয়ে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গার্মেন্টস ব্যবসায়িদের নিঃস্ব করে কোটি টাকা প্রতারণা করে লাপাত্তা কৃষক লীগ নেতা হান্নান শেখ!
করোনায় পেশা ও ব্যবসায়ের ধরন বদলাচ্ছে আগৈলঝাড়ায়

করোনায় পেশা ও ব্যবসায়ের ধরন বদলাচ্ছে আগৈলঝাড়ায়

মোঃ জহিরুল ইসলাম সবুজ, আগৈলঝাড়া:
প্রায় একযুগ ধরে আগৈলঝাড়া উপজেলা সদরে হোটেল ব্যাবসা করে আসছেন। সেই আয়ে স্ত্রী ও ছেলে-মেয়েদের  নিয়ে কোনো রকমে খেয়ে পরে দিন কাটছিল। তবে করোনাভাইরাসের প্রকোপে জীবন থমকে যাওয়ার সঙ্গে কাশেমের ব্যাবসা থেমে গেছে। ঘরে বসে থাকলে পেট চলে না। তাই ভ্যান ভারায়  নিয়ে রাস্তায় নেমে এসেছেন হোটেল ব্যাবসায়ী কাশেম। এখন সে ভ্যান চালক।
করোনায় বদলে যাওয়া পরিস্থিতিতে প্রিয়জনদের নিয়ে টিকে থাকার প্রয়োজনে নিজের পেশা বদল করেছেন কাশেম। কাশেমের মতো এমন অনেক শ্রমজীবী নিজেদের পেশা এবং ব্যবসায়ের ধরন পাল্টে টিকে থাকার লড়াই করছেন।
গতকাল শুক্রবার আগৈলঝাড়া উপজেলার বিড়িভন্ন এলাকা ঘুরে কথা হয় এমন কিছু শ্রমজীবীর সঙ্গে।
চৈত্রের দুপুরে ভ্যান হাতে উপজেলা সদরের বিভিন্ন সড়কে ভ্যান চালিয়ে ক্লান্ত কাশেম জানান. করোনার ভয়ে মানুষ বাইরের খাবার বাদ দিয়েছে। গত ২৩ মার্চ থেকে হোটেল বন্ধ হওয়ার পর ঘরে বসেই কাটিয়েছেন। তবে সঞ্চয়ের টাকা শেষ হওয়ায় আর ঘরে থাকা যায়নি। তাই ভ্যান ভারা করে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভ্যান চালানো শুরু করেছি। আগে প্রতিদিন গড়ে এক হাজার টাকা আয় ছিল। এখন আয় দুই শ থেকে আরাই শ  টাকা। এই আয়ে সংসার না চললেও জীবন বাঁচবে।


করোনার ভয় আছে কাশেমের। তবে এর চেয়ে বড় ভয় ক্ষুধার। কাশেমেন ভাষায়, ‘করোনার ভয় আছে, তারচেয়ে বড় ভয় খিদার। পেট তো আর করোনা বুঝে না। যেই হাতে ব্যাবসা কইরা খাইছি, ওই হাতে সাহায্য চাওয়াও সম্ভব না। তাই একটা কিছু করতেই হয়। যতদিন হোটেল ব্যাবসা  চালু করতে না পারছি তত দিন প্রর্যন্ত ভ্যান চালিয়েই সংসার চালাবেন তিনি।
কাশেমের  মতো নিজের পেশা বদলেছে  আরেক যুবক মিজান.  সে ঠিকই জানে, মানুষজন না বের হলে কেনাবেচাও জমবে না। তাই কাপরের দোকান বন্ধ করে দিয়ে বাজারে বসে মাস্ক বিক্রি শুরু করেছেন। এমন পেশা বদলের পাশাপাশি ব্যবসায়ের ধরনও পাল্টেছে অনেক শ্রমজীবীর।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com