সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৩৩ অপরাহ্ন
ডেস্ক রিপোর্ট: গণমাধ্যমের স্বাধীনতা প্রশ্নে বেশ পিছিয়ে আছে মুসলিম দেশগুলো। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারের (আরডাব্লিউবি) তৈরি বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম সূচকের তলানিতে থাকা ২০ দেশের মধ্যে ১৩টিই মুসলিম রাষ্ট্র। এই সূচকের শেষ দেশটি তুর্কমেনিস্তান-যার সম্পর্কে আরডাব্লিউবির মন্তব্য, ‘খবর লোপাট করার ক্রমবর্ধমান কৃষ্ণ গহ্বর।’
আরডাব্লিউবির প্রতিবেদনে বলা হয়, মুসলিম রাষ্ট্রগুলো গণমাধ্যমকে হাতের মুঠোর মধ্যে রাখতে পছন্দ করে। দেশগুলোতে ইন্টারনেটও সহজলভ্য নয়। ক্যাফেতে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পরিচয়পত্র দেখাতে হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে এসব দেশে সাংবাদিকদের গ্রেপ্তার, নির্যাতন, শারীরিকভাবে হামলার শিকার এবং কাজ বন্ধ করতে বাধ্য করার মতো ঘটনা বাড়ছে।
এই শেষের ২০টি দেশের মধ্যেই ইরান ও সৌদি আরবের অবস্থান। সংগঠনটির দৃষ্টিতে, ইরান হচ্ছে সাংবাদিকদের জন্য সবচেয়ে নিপীড়ক রাষ্ট্র। গত ৪০ বছর ধরেই তারা একইভাবে সাংবাদিক পীড়ন চালিয়ে যাচ্ছে। খবরের ওপর পূর্ণ রাষ্ট্রীয় নিয়ন্ত্রণ রাখা এই দেশটিতে ১৯৭৯ সাল থেকে আটশ ৬০ জন সাংবাদিক কারাদণ্ড বা প্রাণদণ্ডের মুখোমুখি হয়েছেন।
মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে গণমাধ্যম সবচেয়ে বেশি স্বাধীনতা ভোগ করে সেনেগালে। আরডাব্লিউবির প্রতিবেদনে বলা হয়, সৌদি আরব যদি কোনো স্বাধীন গণমাধ্যমকে কাজ করার অনুমতি দেয়। তাহলে সাংবাদিকদের ওপরও তাদের নজরদারি থাকে। এমন কি বিদেশে বাস করেও সাংবাদিক জামাল খাশোগি তাদের নজর থেকে আড়াল হতে পারেননি। ২০১৮ সালে তাকে তুরস্কের ইস্তাম্বুলের সৌদি দূতাবাসে হত্যা করা হয়। সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান মুখে সংস্কারের কথা বললেও দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকেই নিপীড়ন বাড়িয়ে চলেছেন।
এই সূচকে সেনেগালের অবস্থান ৪৭তমতে। আফ্রিকার সবচেয়ে স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম সেনেগালে গণমাধ্যম স্বাধীন। ২০০১ সালে প্রণীত সংবিধানে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিশ্চয়তা দেওয়া হয়েছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সাংবাদিক নির্যাতনের ঘটনাও ক্রমেই কমছে। এই সূচকে শীর্ষে রয়েছে নরওয়ে। স্ক্যান্ডিনেভীয় দেশগুলোর পাশাপাশি আছে কয়েকটি ইউরোপীয় দেশও।
সূত্র: ফাইভ পিলার্স।