বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২৪ পূর্বাহ্ন
মো. ইস্রাফিল : রাজধানীর মিরপুর-১২ এলাকার একটি ভবনে জাল টাকার কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব-২। এর ভিত্তিতে সোমবার ভোররাতে মিরপুর-১২, ই-ব্লক, ৭ নম্বর রোডের ৬২ নম্বর ভবনে অভিযান শুরু করে র্যাব-২ এর একটি দল।
র্যাব-২ এর সিনিঃ এএসপি মোঃ জাহিদ আহসান স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান গতকাল রাত ১২ ঘটিকা থেকে মিরপুর পল্লবী এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানায় অভিযান পরিচালনা করে র্যাব-২। রাজধানীর মিরপুর থানাধীন ১২/ই ব্লক বাসা নং ৬২ এবং বসুন্ধরা আবাসিক এলাকা জি ব্লক বাসা নং ১৬১ হতে আনুমানিক চার কোটি (১০০০ টাকার নোট ) জাল টাকা এবং ভারতীয় রুপি (আনুমানিক ৪০ লক্ষ, ৫০০ ও ২০০০ রুপির নোট)সহ (১) মোঃ সেলিম (৪০), (২) মোঃ মনির(৪৫), (৩) মোঃ মঈন(৪০),(৪) মোছাঃ রমিজা বেগম (৪০), (৫) মোছাঃ খাদেজা বেগম (৪০), ও (৬) মোঃ শাহীনুর ইসলাম(১৫) নামক ৬ জন জাল টাকা ব্যবসায়ীকে গ্রেফতার করেন এবং জাল টাকা বানানোর জন্য ব্যবহৃত ল্যাপটপ, প্রিন্টার, ডাইস, কাটার উদ্ধার করা হয়। এছাড়াও প্রায় ২৫/৩০ কোটি টাকার সমপরিমাণ জাল টাকা বানানোর জন্য প্রয়োজনীয় কাচামাল (কাগজ, কালি, জলছাপ দেয়ার সামগ্রী) উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, তারা (জাল টাকা তৈরীর) সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্য। আসামীরা জানায়, মোঃ মঈন মোঃ মনিরকে জাল টাকা ছাপানোর সহযোগিতা করত এবং প্রিন্ট করা টাকা কাটিং করার পরিকল্পনা করেছিলো। এবং রমিজা বেগম সেলিমকে কাগজে আঠা লাগানোর কাজে সহয়তা করতো এবং প্রয়োজনীয় ফুটফরমাশ খাটতো। মোছাঃ খাদিজা বেগম এবং শাহীনুর সাদা কাগজে নিরাপত্তা সুতার জলছাপ দেয়ার কাজ করতো। গোয়েন্দা সূত্রে ও গ্রেফতারকৃত আসামীদেরকে জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, এ বিপুল পরিমান জাল টাকা আসন্ন কোরবানি ঈদে বাজারে ছাড়ার পরিকল্পনা ছিল। করোনাকালীন এ সময়ে জাল টাকার এ ছড়াছড়ি দেশের আর্থসামাজিক অবস্থাকে দুর্বল করে দিতে পারে। জাল টাকা একটি বিশাল সিন্ডিকেট দেশের অভ্যন্তরে কাজ করছে এবং এর বিরুদ্ধে র্যাবের অভিযান পূর্বের ন্যায় চলমান রয়েছে।