বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: পিরোজপুরে র্যাবের অভিযানে আমির হোসেন ভূঁইয়া (২২) ও মো. মোস্তফা কামাল (৩৬) নামে দুই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জুলাই) পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার হাজী আব্দুর রাজ্জাক সার্জিক্যাল ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টার থেকে আমির হোসেন ভূঁইয়া এবং মহিমা ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারের স্বত্বাধিকারী মো. মোস্তফা কামালকে আটক করে বরিশাল র্যাব-৮।
আটকের পর তারা পিরোজপুর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে।
এরপর আমির হোসেন ভূঁইয়াকে ৬ মাস ও মো. মোস্তফা কামালকে ৩ মাসের কারাদণ্ডসহ ৩০ হাজার টাকা করা হয়।
পাশাপাশি হাজী আব্দুর রাজ্জাক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১০ হাজার টাকা এবং সৌদি প্রবাসী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পীযুষ কুমার চৌধুরী।
জানা গেছে, মাধ্যমিকে মানবিক এবং উচ্চ মাধ্যমিকে ব্যবসা বিভাগে পড়া আমির হোসেন ভূঁইয়া ভুয়া ডাক্তারের সনদপত্র দেখিয়ে ওই ক্লিনিকে আবাসিক মেডিকেল অফিসার হিসেবে নিয়োগ পায়।
এরপর থেকে আমির গাইনোকোলজিস্ট হিসেবে সাধারণ রোগী দেখার পাশাপাশি সিজারসহ বিভিন্ন অপারেশন করে আসছিল। পাশাপাশি মঠবাড়িয়া থানা এলাকার আরও বেশ কিছু প্রাইভেট ক্লিনিকে অন কল ডাক্তার হিসেবে অপারেশন পরিচালনা করতো।
অভিযুক্ত ভুয়া ডাক্তার আমিরের দেওয়া তথ্যমতে মঠবাড়িয়ার আরেকটি প্রাইভেট ক্লিনিক মহিমা ক্লিনিক ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ক্লিনিকের মালিক মো. মোস্তফা কামাল ভুয়া ডাক্তার নিয়োগ দেওয়ার পাশাপাশি নিজেও অপারেশনের অংশগ্রহণ করত যদিও সে মাধ্যমিকের গণ্ডি পেরোতে পারেনি।
ওই ক্লিনিকের অপারেশন থিয়েটারে অভিযান চালিয়ে দেখা যায়, মেয়াদোত্তীর্ণ বিভিন্ন ওষুধের স্টক করাসহ থাকার জায়গা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে।
একইভাবে ভুয়া ডাক্তার আমির হোসেন ভূঁইয়ার স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সৌদি প্রবাসী হাসপাতাল ও ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে সে সিজারসহ বিভিন্ন অপারেশন পরিচালনা করেছে বলে প্রমাণ পাওয়া যায়।