বৃহস্পতিবার, ০১ Jun ২০২৩, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
আগৈলঝাড়ায় শ্রেষ্ঠ প্রধান শিক্ষক নির্বাচিত হলেন এম এ মন্নান ‘ডেঙ্গু রোধে সরকার সারাদেশের স্বাস্থ্য বিভাগকে নির্দেশ দিয়েছে’ বঙ্গবন্ধুর দূরদর্শিতায় বাংলাদেশ ওআইসির সদস্যপদ লাভ করে : প্রধানমন্ত্রী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে গিয়ে মনুষ্যত্ব যেন না হারায় : তথ্যমন্ত্রী বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে কর্মসংস্থানভিত্তিক কার্যক্রম চালানোর নির্দেশ রাষ্ট্রপতির এক দিনে আরও ৭২ ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি ফ‌রিদপু‌রে জাল সনদধারী ১০ শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল, মামলার নি‌র্দেশ সীমান্ত নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছেন পুতিন পুলিশকে আরও জনবান্ধব হওয়ার নির্দেশ রাষ্ট্রপতির মোংলা বন্দরে নিলামে উঠছে ১৪৭ বিলাসবহুল গাড়ি
নীলফামারীতে বোতল প্রক্রিয়ার কারখানা করে স্বাবলম্বী শফিকুল

নীলফামারীতে বোতল প্রক্রিয়ার কারখানা করে স্বাবলম্বী শফিকুল

প্লাস্টিকের বোতল প্রক্রিয়া করে স্বাবলম্বী হয়েছেন নীলফামারী জেলা সদরের ইটাখোলা ইউনিয়নের বাদিয়ার মোড় এলাকার শফিকুল ইসলাম (৪৫)। পাশাপাশি প্রক্রিয়াকরণ কারখানায় তিনি সৃষ্টি করেছেন এলাকার বেকার নারী পুরুষের কর্মসংস্থান।

২০০৭ সালে সড়ক দুর্ঘটনায় বাম পায়ে আঘাত পান শফিকুল ইসলাম। পায়ে অস্ত্রপাচারের পর বেকার হয়ে পড়েন তিনি। ভাঙ্গা ওই পা নিয়ে ভাবতে থাকের নিজের কর্মসংস্থানের। এমন ভাবনায় পৈত্রিক ৫ শতাংশ জমি বিক্রির ৫০ হাজার টাকায় শুরু করেন প্লাস্টিকের বোতল কেনা বেচা। এলাকার ফেরিওয়ালার কাছে বোতল কিনে বিক্রি করতেন সৈয়দপুরের মহাজনের কাছে। ধীরে ধীরে সেই ব্যবসা থেকে লাভের অংশ জমিয়ে কিনেন একটি বোতল প্রক্রিয়াকরণ মেশিন। এখন সেই মেশিনে বোতল প্রক্রিয়া করে বিক্রি করছেন ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন বাজারে।

শফিকুল ইসলাম জানান, রপ্তাণীকারকরা প্রক্রিয়াকরা ওই প্লাস্টিক কিনে নিয়ে চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে রপ্তাণী করছেন। প্রক্রিয়া করা বোতলের প্লাস্টিক থেকে বিভিন্ন পণ্য তৈরি হচ্ছে এসব দেশে।’

তিনি বলেন, ‘ব্যবহার বেড়েছে প্লাস্টিকের বোতলের। প্রয়োজন শেষে ব্যবহারকারীরা এসব বোতল ছুড়ে ফেলেন যত্রতত্র, তাতে পরিবেশ বিপন্ন হচ্ছে। সেসব বোতল প্রক্রিয়ার ব্যবসায় আমি যেমন স্বাবলম্বী হয়েছি, দেশের বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন হচ্ছে, পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষা হচ্ছে।’

শফিকুল ইসলাম জানান, প্রকার ভেদে প্রতি কেজি বোতল কিনেন ২০ থেকে ২৬ টাকা দরে। রং ভেদে বাছাইয়ের পর প্রতি কেজি বিক্রি হয় ৪৮ থেকে ৫০ টাকা দরে। এতে প্রতিমাসে তার আয় এক লাখ টাকার ওপরে। কারখানায় নিয়মিত কাজ করছেন ১৫ জন শ্রমিক। তাদের মধ্যে বেশির ভাগই নারী। অপর দিকে এলাকায় ফেরি করে বোতল সংগ্রহ করছেন ৫০ জনের অধিক। তারাও নিশ্চয়তা পাচ্ছেন সংগ্রহ করা বোতল বিক্রির।
ওই কারখানার শ্রমিক আমিনা বেগম (৫০) বলেন, ‘আগোত সংসারোত অভাব ছিল। এলা এলাকাত কারখানা হইচে। বাড়ির পাশোত কাম করি প্রত্যকদিন ২শ টাকার উপরোত কামাই করেছ। এলা সংসারোত অভাব কমিছে।’

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ খালেদ রহীম বলেন, উদ্যোগটি খুই ভালো। এধরণের উদ্যোক্তাদের সরকারী আর্থিক সুযোগ সুবিধা প্রদানের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।বাসস

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com