মো:আমিন হোসাইন: রাজধানী জুরে চলছে নিষিদ্ধ ঘোষিত ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা নৈরাজ্যকর জমজমাট ব্যবসা। আর ওই সব এলাকার অসংখ্য অসাধু চক্র ও মাঠ পর্যায়ে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের বেশিরভাগ সদস্যসের যোগসাজসে নানা কায়দায় ওই কারবারে জড়িয়ে ফায়দা ভাগাভাগি করছে বলে জানা যায়। আরো জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরে এলাকা ভিত্তিক ওই সব চক্রের বাতলে দেওয়া সব পথে তৎপর হয়ে অটো রিকসা মালিকদের জিম্মি করে লাখ লাখ টাকা আদায় করছে। তাই সম্প্রতি প্রায় জায়গায় ট্রাফিক পুলিশ ওই অটোরিকসার পেমেন্ট কার্ড বিক্রি ও ধরাছাড়ার ব্যবসায় মারত্বক বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। আর এভাবে বেপরোয়া ওই শ্রেণীর হীনস্বার্থের কারবার ওই অটোরিকসার দৌরাত্ব চলতে থাকলে তা এক সময় বড় ধরনের সমস্যায় রূপ নেয়ার আশঙ্কা করছেন অনেকেই। সরেজমিনে রাজধানীর বেশ কয়েকটি এলাকা থেকে ওই ব্যাটারি চালিত অটোরিকসার কারবারের চিএ তুলে ধরা হলো।
মিরপুরের শাহ্ আলী এলাকার গুদারাঘাট, নবাবেরবাগ,মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স সহ আরো বিভিন্ন জায়গা যেন খনি থেকে উঠছে ব্যাটারি চালিত অটোরিকসা। অবৈধ ওইসব ব্যাটারিচালিত রিকসা অলিগলি সহ মূল সড়কে দাপিয়ে বেরাচ্ছে। রিকসার ব্যাটারি চার্য দেওয়ার জন্য সড়কে যএতএ গড়ে উঠেছে গ্যারেজ। এসব গ্যারেজে অবৈধ ভাবে বিদ্যুৎ সংযোগ টেনে ব্যাটারি চার্য দেওয়া হয়। ডেসকোর কিছু অসাধু কর্মকর্তাকে ম্যানেজ করে গ্যারেজের মালিকরা অবৈধ ভাবে ব্যাটারি চার্য দিয়ে হাতিয়ে নিচ্ছেন কোটি কোটি টাকা। আর সরকার হারেচ্ছেন বিরাট অংকের রাজস্ব। শাহ্ আলী এলাকার কথিত আনাসার কমান্ডার মাহমুদুল এবং মুক্তিযোদ্ধা কমপ্লেক্স এর স্থানীয় এক নেতা আলাউদ্দিন অটো রিকসা সড়কে চলাচল নিয়ন্ত্রণ করেন।প্রতি কার্ডে মাসে ১৫শত টাকার বিনিময়ে প্রায় ৫০০-৭০০ ব্যাটারি চালিত অটোরিকসা রাস্তায় নামিয়েছেন। আর সেই কার্ডে মার্কা হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে রিকসা মার্কা। এ বিষয়ে অটোরিকসার এক চালকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এই প্রতিবেদকে জানায় এই রিকসা মার্কার কার্ড ছাড়া আমরা রাস্তায় রিকসা চালতে পারি না। আর যদি কার্ড ছাড়া রিকসা চালাই তাহলে মাহমুদুল এর লোকজন আমাদের বিভিন্ন ভাবে হুমকি প্রদান করে। আর এই অটোরিকসার পেমেন্ট কার্ডের ভাগ কারা কারা পায় তাদের ব্যাপারে ব্যাপক অনুসন্ধান চলছে বিস্তারিত জানতে চোখ রাখুন আগামী প্রতিবেদনে…………