নিজস্ব প্রতিবেদক:
লালমনিরহাটের কোদালখাতা, ভাটিবাড়ী, কাকেয়া টেপা, ফুলগাছ গ্রামের তরুণ উদ্যোক্তারা নার্সারী বাগান করে এখন স্বাবলম্বী হয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা সদর থেকে উত্তর দিকে এ গ্রামগুলো অবস্থিত। উক্ত গ্রামগুলো ১নং মোগলহাট ইউনিয়ন পরিষদের অন্তর্ভূক্ত। কয়েক হাজার পরিবারের লোকজন গ্রামগুলোতে বসবাস করে। সেখানকার অনেকেই নার্সারী বাগান করেছে।
ওই সব গ্রামগুলোতে গিয়ে লক্ষ্য করা গেছে, অনেক নার্সারী বাগান। প্রায় প্রতিটি বাগানের মালিক ও শ্রমিকরা ঘাস নিড়ানী ও গাছের পরিচর্যায় ব্যস্ত আছেন। নার্সারী বাগান করে অনেকে স্বাবলম্বী হয়ে সংসারে সচ্ছলতা ফিরিয়ে এনেছেন।
উক্ত গ্রামের লোকজন জানান, যে জমিতে নার্সারী বাগান দেখা যাচ্ছে, সেই জমিতে আগে ফসল করা হতো। ফসল উৎপাদনের চেয়ে নার্সারী বাগানে বেশি লাভ। তাই গ্রামের উদ্যোক্তা ফসলের পরিবর্তন করে নার্সারীর প্রতি ঝুঁকে পড়েছে। বিভিন্ন ফলজ, সুপারি, নারিকেল ও কাঠ এবং ঔষুধী জাতীয় ছাড়া অনেক ধরনের বাহারি গাছ নার্সারী বাগানে পাওয়া যায়।
তাদের দাবী নার্সারী বাগান করার ক্ষেত্রে কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ও সামাজিক বনায়ন এবং যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর লালমনিরহাটের পক্ষ থেকে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন।
সাইফুল নার্সারীর প্রোঃ মোঃ বেলাল হোসেন বলেন, গাছ লাগিয়ে গড়ুন দেশ, সুন্দর করুন পরিবেশ।
তারা আরও বলেন, আমার নার্সারীতে বিভিন্ন প্রকার দেশি-বিদেশি ফুল-ফল, হাইব্রীড কলম, ফলজ, বনজ, ঔষধী চারা গাছ পাইকারী ও খুচরা বিক্রয় করে থাকি।
বিসমিল্লাহ নার্সারীর প্রোঃ মোঃ ইসরাইল হোসেন বলেন, আমি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর হতে এক সপ্তাহ ব্যাপি নার্সারীর প্রশিক্ষন গ্রহণ করি। এতে করে আধুনিক নার্সারী ব্যবসায় উক্ত প্রশিক্ষণ আমাকে সমৃদ্ধ করেছে। আমি যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের কাছে কৃতজ্ঞ।
উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা অপূর্ব বলেন, আমরা কৃষি বিভাগ থেকে সাধ্যমত সহায়তা করা চেষ্টা করি। তারা যখনই আমাদের ডাকেন আমরা সরেজমিনে গিয়ে পরামর্শ দিয়ে থাকি। এতে তাদের সমস্যাগুলো সমাধান হয়।