বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:২৯ অপরাহ্ন
বরগুনার আমতলী উপজেলায় তরুণীকে হত্যার পর লাশ সাত টুকরো করার ঘটনায় মামলা তুলে নিতে ওই নিহত তরুণীর পরিবারকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।
গতকাল সোমবার দুপুরে বরগুনা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে নিহত মালা আকতারের মা আকলিমা বেগম ও মামা হাবিব খান এসব অভিযোগ করেন।
থানা-পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, নিহত মালা সদর উপজেলার ঘুদিঘাটা গ্রামের আব্দুল মন্নান হাওলাদারের মেয়ে। তিনি কলাপাড়া মোজাহার উদ্দিন বিশ্বাস কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী।
গত ২৪ অক্টোবর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বরগুনার ঘটবাড়িয়া আদর্শ কলেজের প্রভাষক আলমগীর হোসেন তাঁর আত্মীয় মাঈনুল আহসানের বাসায় মালাকে কুপিয়ে হত্যা করেন। পরে তাঁর লাশ সাত টুকরা করে দুটি ড্রামে ভরে লাশ ঘরের একটি কক্ষে লুকিয়ে রাখেন। পরে পুলিশ খবর পেয়ে ওই দিন বিকেল চারটার দিকে মাঈনুলের বাসা থেকে লাশ উদ্ধার করে এবং ঘটনাস্থল থেকে আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। পরে মাঈনুল আহসানকেও গ্রেপ্তার করা হয়। একই দিন পুলিশ বাদী হয়ে আমতলী থানায় একটি হত্যা মামলা করে। বর্তমানে তাঁরা কারাগারে আছেন।
পরিবারের অভিযোগ, মালার সঙ্গে আলমগীর হোসেনের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। মালা তাঁকে বিয়ের কথা বলায় তিনি মালাকে খুন করেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়েন মালার মা আকলিমা বেগম। তিনি বলেন, মামলা পরিচালনা না করার জন্য আসামির আত্মীয়স্বজনেরা নানাভাবে তাঁদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছেন। মামলা তুলে না নিলে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তাঁর পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। এ ঘটনায় বরগুনা সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তরুণীর মামা মো. হাবীব খান।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাসুদুজ্জামান ছুটিতে আছেন। এখন পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রফিকুল ইসলাম দায়িত্ব পালন করছেন। তিনি বলেন, সাধারণ ডায়েরির বিষয়টি তাঁর জানা নেই।