বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ০৪:৩৮ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
কবিতা পড়লে মস্তিষ্ক ও স্নায়ুতন্ত্রে কী ঘটে? নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে ভূমি অধিগ্রহণে জালিয়াতির অভিযোগ নির্বাচন উৎসবমুখর করতে সেনাবাহিনীর সহায়তা প্রয়োজন: প্রধান উপদেষ্টা বিজয় দিবসে কোনো নাশকতার সম্ভাবনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা দেশজুড়ে মোবাইল ফোন বিক্রির সব দোকান বন্ধের ঘোষণা ‘ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়’ নামে এক হচ্ছে সাত কলেজ ৬৭৮ কোটি মানিলন্ডারিং, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড মালিকের বিরুদ্ধে মামলা নরসিংদীতে অতিরিক্ত নামজারী করে অধিগ্রহণের টাকা উত্তোলনের চেষ্টা—জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ মানবতাবিরোধী অপরাধে শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ড নরসিংদীর করিমপুর ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত

ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত ও ভিকটিমের ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : শনিবার, ১৭ অক্টোবর, ২০২০
  • ২৯৩

ভিশন বাংলা ডেস্ক: সংশোধিত আইনে মানুষের মাঝে যেন এক ধরনের স্বস্তি ফিরেছে। নতুন আইনে ধর্ষণ মামলায় অভিযুক্ত এবং ভিকটিম উভয়ের ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এর ফলে কম সময়ের মধ্যেই অপরাধী সনাক্ত করা যাবে। তবে ধর্ষণ মামলা প্রমাণে মেডিকেল রিপোর্ট মুখ্য নয়। পারিপার্শিক অবস্থা ও সাক্ষ্য বিবেচনায় নিয়েও দেয়া যাবে সাজা। বুধবার বিচারপতি রেজাউল হকের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দিয়েছেন। সেইসঙ্গে কোনো ভুক্তভোগী দেরিতে মামলা করলে সেটি মিথ্যা বলা যাবে না।

ধর্ষণের মামলার সংজ্ঞায় বলা আছে, মেডিকেল রিপোর্ট ছাড়া কোনোভাবেই সাজা দেয়া যাবে না আসামিকে। ধর্ষণ মামলা প্রমাণ করতে তাই অন্যতম অস্ত্র মেডিকেল রিপোর্ট। তবে বুধবার আদালত তার রায়ে জানিয়েছেন, শুধুমাত্র মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে ধর্ষণের মামলা অপ্রমাণিত বলে গণ্য হবে না। ভুক্তভোগীর মৌখিক ও পারিপার্শ্বিক সাক্ষ্য দ্বারা আসামির বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ প্রমাণিত হলেও তার ভিত্তিতে আসামিকে সাজা প্রদান করা যেতে পারে। তাই মেডিকেল রিপোর্ট না থাকার কারণে যে আসামি ধর্ষণ করেনি মর্মে খালাস পেয়ে যাবে, এই অজুহাত গ্রহণযোগ্য নয়। আইনমন্ত্রী অ্যাডভোকেট আনিসুল হক বলেন, অভিযুক্ত ও ভিকটিম উভয়ের ডিএনএ টেস্ট বাধ্যতামূলক হওয়ায় একদিকে যেমন হয়রানিমূলক মামলার হার কমবে অন্যদিকে দ্রুত সনাক্ত করা যাবে অপরাধীদের। এদিকে দেশের নারীদের জন্য নতুন আইনটিকে রক্ষাকবচ বলছেন অনেকেই। মানবাধিকার সংস্থাগুলোর তথ্যমতে, দেশে গড়ে প্রতিদিন তিনজন নারী ধর্ষণের শিকার হন। ১৮ বছর আগে ধর্ষণের সর্বোচ্চ সাজা যাবজ্জীবন হলেও অপরাধ তো কমেইনি সাম্প্রতিক সময়ে এ হার বেড়েছে আশঙ্কাজনক হারে। সাজা বাড়ানোর জনদাবির প্রেক্ষিতে ১২ অক্টোবর আইন সংশোধনের মধ্য দিয়ে ধর্ষণ, ভুক্তভোগীকে হত্যা ও নির্যাতনের শাস্তি হিসেবে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ডের বিধান করে সরকার।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com