শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:২২ পূর্বাহ্ন
সংযুক্ত আরব আমিরাতে যৌন-নিপীড়নের চেষ্টাকারী এক পাকিস্তানিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার দায়ে দেশটির অপর এক ব্যক্তিকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে দেশটির আদালত। একই সঙ্গে কারাদণ্ড ভোগের পর তাকে স্বদেশে ফেরত পাঠানোর নির্দেশও দেয়া হয়েছে।
দণ্ডপ্রাপ্ত ২২ বছর বয়সী পাকিস্তানি ওই তরুণ বলছে, দুবাইয়ের একটি কোম্পানিতে কর্মরত ছিলেন তিনি। কোম্পানির সুপারভাইজার অপর এক পাকিস্তানি তাকে যৌন হয়রানি করতেন। এ কারণে তিনি ওই স্বদেশি সুপারভাইজারকে ছুরিকাঘাত করেন। তবে তাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ছুরিকাঘাত করেননি বলে দাবি ওই তরুণের।
ঘটনার দিন রাত ১১টার দিকে ওই সুপারভাইজার তাকে ডাকেন বলে তদন্তকারী কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন। আইনজীবীকে তিনি বলেন, ‘আমি আল কুওজের কাছে বাসভবনের পাশে হাঁটছিলাম। এ সময় সে আমাকে ডেকে পাঠায়। আমাকে পার্কিং লটে সাক্ষাতের জন্য ডাকে এবং আমার সঙ্গে যৌন-সম্পর্কে লিপ্ত হতে চায়।
‘আমি প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে হুমকি দেয়। একই সঙ্গে আমাকে অপমানিত করে এবং মারপিটের হুমকি দেয়। ফেরার সময় আমি রাগ ঠেকাতে পারিনি। পরে সুপারমার্কেটে থেমে একটি ছুরি কিনেছি।’
দণ্ডপ্রাপ্ত ওই পাকিস্তানি আদালতে বলেন, গাড়ি পার্কিংয়ের লটে যখন আবার সুপারভাইজারকে দেখতে পান তখন আগের যৌন-হয়রানির ঘটনার জন্য তাকে থাপ্পড় মারেন। এর এক পর্যায়ে তার তলপেট ও বুকে বেশ কয়েকবার ছুরিকাঘাত করেন তিনি। পরে ওই সুপারভাইজার কিছুদূর এগিয়ে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
এ সময় হামলাকারী ওই তরুণ সুপারভাইজারের পাশে গিয়ে দুঃখ প্রকাশ ও ক্ষমা প্রার্থনা করেন। একই সঙ্গে কান্নাকাটি শুরু করেন।
ওই তরুণ পুলিশকে বলেন, কয়েক বছর ধরে তিনি যৌন হয়রানির শিকার হয়ে আসছিলেন। সুপারভাইজারের সহায়তায় তিনি আমিরাতে শ্রমিক ভিসায় পাড়ি জমিয়েছিলেন।