শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৫ অপরাহ্ন
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। বিশ্বাস করেন তিনিই টালিগঞ্জের এক নম্বর নায়িকা। বিশ্বাস করেন কিছু কিছু ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কোনও বিকল্প হয় না। অন্যান্য অভ্যাসগুলোকে একই রাখতেও বিশ্বাস করেন। এ ঋতুর ‘পরিবর্তন’ বোধহয় অসম্ভব। ভাস্বতী ঘোষ-এর তাই মনে হল…
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত যা পারেন, তা টলিউডের অন্য কোনও নায়িকা পারেন না!
যেমন এই সাক্ষাত্কারের জন্য ঘড়ি ধরে ঠিক তিনঘণ্টা দেরিতে এলেন ঋতুপর্ণা। ভাগ্যিস দেরি করলেন! তাঁর সহযোগীদের থেকে সেই গল্পগুলো আরও একবার ঝালিয়ে নেওয়া গেল, যেগুলো শুনলে এখনও চমক লাগে।
এই যেমন কলকাতা শহরে একটি শ্যুটিংয়ে যে সময়ে পৌঁছনোর কথা ছিল তাঁর, তিনি পৌঁছননি। ইউনিট থেকে ফোন করে জানতে চাওয়ায়, ঋতুপর্ণা বলেছেন, ‘আমি এয়ারপোর্টে। আধঘণ্টা সময় লাগবে।’ মজাটা-হলো, এয়ারপোর্টটি আন্তঃরাষ্ট্রীয়, এবং তার অবস্থান ঢাকা শহরে। বা ঋতুপর্ণা সেনগুন্তর কাছে একটি অনুষ্ঠান উদ্বোধনের জন্য ফোন এসেছে। বিকেলে পৌঁছনোর অনুরোধ। কিন্তু সেদিনই তাঁর মুম্বাইয়ে উড়ে যাওয়ার কথা। বিকেলেরই ফ্লাইট। ঋতুপর্ণা একেবারে সেজেগুজে বেরিয়ে এয়ারপোর্ট যাওয়ার পথে উদ্বোধনের ‘রিবন কাটিং সেরেমনি’ সামলে প্রায় দৌঁড়াতে দৌঁড়াতে উঠে পড়লেন প্লেনে! নায়িকার ম্যানেজার সবকিছু অ্যারেঞ্জ করে দিয়েছিলেন নিঁখুতভাবে।
আবার ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তই এ কলকাতার একমাত্র নায়িকা যিনি গাড়িতে বসে মেকআপ করেন, যাতে শ্যুটিংয়ে পৌঁছে সময় নষ্ট না হয়। ঢাকা থেকে সেদিন ফেরার সময় প্লেনেও মেকআপ সেরে নিয়েছিলেন! ঋতুপর্ণাকে যাঁরা কাছ থেকে চেনেন সকলেই জানেন, নাচের অনুষ্ঠান করতে কী অসম্ভব ভালোবাসেন ঋতুপর্ণা। কিন্তু তখন কন্যা ঋষণা তাঁর গর্ভে। নাচের অনুষ্ঠান করার মতো অবস্থা নেই।
হেয়ারড্রেসার সন্ধ্যা নাচের প্রোগ্রামের কথা শুনে আঁতকে উঠে বলেছেন, এ অবস্থায় কী করে নাচবে গো?’ ঋতুপর্ণা নাকি প্রশ্ন শুনে বলেছিলেন, ‘পায়ের মুভমেন্ট রাখব না। শুধু ফেসিয়াল এক্সপ্রেশন আর হাতের মুভমেন্ট।’ স্টেজের আলো কীভাবে সেট করতে হবে, সেটা সেদিন ঋতুপর্ণা নিজেই বলে দিয়েছিলেন। এমন একটি পোশাক পরেছিলেন, যাতে বোঝাই যাচ্ছিল না তিনি প্রেগনেন্ট। তাঁর নাচের অনুষ্ঠানের শেষে হাততালিতে ফেটে পড়েছিল হলো…
আর সম্প্রতি ‘রাজকাহিনী’ ছবির একটি ডিনারে পার্নো মিত্র তাঁকে জড়িয়ে ধরে মশকরা করে বললেন, ‘বুম্বাদার জন্মদিনে (৩০ সেপ্টেম্বর) অনেক স্পেশ্যাল কিছু করেছি আমরা, তুমি যা যা স্পেশ্যাল করেছ, তার চেয়েও বেশি!’ শুনে ঋতুপর্ণা এক মুহূর্ত না ভেবে মুচকি হেসে বললেন, ‘হতেই পারে না! আমাদের নায়িকাদের স্পেশ্যাল বন্ডিং। তার ধারেকাছে কেউ পৌঁছতে পারবে না!’ আর কত উদাহরণ লেখা যায় এক লেখায়… তার চেয়ে সাক্ষাত্কার পড়ুন-ছত্রে, ছত্রে চমক পাবেন!
ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত টলিউডের বাকি নায়িকাদের অনায়াসে পেছনে ফেলে দেবেন, তাতে আর চমক কী!
ঋতুপর্ণা: প্লিজ, এইটা একটু বড়-বড় করে লিখুন!
কোনটা? যে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত এই মুহূর্তে টলিউডের এক নম্বর নায়িকা আর সেটা তিনি নিজে জানেন?
ঋতুপর্ণা: হ্যাঁ। (হাসি)
‘রাজকাহিনী’ নিয়ে প্রথমে কথা হোক। এই ছবির আগে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের ওপর তো আপনার রাগ ছিল!
ঋতুপর্ণা: ছিল। এদিক-ওদিক দেখা হত। কিন্তু আমাকে তো কখনও ছবি অফার করেনি। অভিমান হবে, সেটাই তো স্বাভাবিক।
কিন্তু সৃজিত আপনাকে অপেক্ষা করতে বলেছিলেন… বড় কিছুর জন্য।
ঋতুপর্ণা: হিন্ট দিয়েছিল। তবে সেটা সত্যিই ঘটাবে বুঝিনি। যতক্ষণ না ঘটনাটা ঘটছে আপনি বুঝবেন কী করে? কিন্তু ‘রাজকাহিনী’ নিয়ে যখন আমার কাছে এল, আমি গলে জল হয়ে গেলাম। একটা তীব্র ভাললাগা অনুভব করলাম, যে সৃজিত ওঁর কথা রেখেছে। আমাকে বেগমজান অফার করেছে।
তারপর যখন আপনি, একজন জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেত্রী, সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের শ্যুটিং ফ্লোরে গিয়ে দাঁড়ালেন, তখন পুরো ইউনিটের সামনে, যেখানে আপনার থেকে জুনিয়র নায়িকারা দাঁড়িয়ে, তাঁদের সকলের সামনে সৃজিত আপনাকে বারংবার বলতে লাগলেন- আপনি যে অভিনয়টা করছেন, সেটা কিচ্ছু হচ্ছে না! সৃজিত বলেছেন, ‘ঋতু ‘সুজনসখী’টা চাইছি না’। সৃজিত বলেছেন, ‘তুমি এতে রাবীন্দ্রিক কেন? ওটা ছুঁড়ে ফেলে দাও!’ এরকম আরও সাংঘাতিক কিছু লাইন সংবাদমাধ্যম পর্যন্ত পৌঁছেছে।
ঋতুপর্ণা: (ঠাণ্ডা গলায়) আমিও হয়ত তখন কিছুটা…(থামলেন। আবার বলতে শুরু করলেন) আমি কিন্তু প্রথমে ধরতে পারিনি, ও আমার থেকে ঠিক কী চাইছে। সেই সময় দাঁড়িয়ে মনে হত, সৃজিত যেরকম বলছে, সেরকমভাবে আমায় পারতেই হবে। না হলে অপমানে মরে যাব! একটা কথা বলি, সৃজিতের সঙ্গে আমার যা মান-অভিমান, সব কিন্তু ‘বেগমজান’-এর জন্য।
চরিত্রখানা তো রগরগে। কোঠিবাড়ির কর্ত্রী। চরিত্রের চরিত্র নিয়ে প্রশ্ন। মুখে অশ্লীল ভাষা। অবশ্য প্রয়োজনে…
ঋতুপর্ণা: পরিশ্রম, তীব্র পরিশ্রম করে এই বেগমজান আমি উতরেছি। বলতে দ্বিধা নেই সৃজিত আমায় দিয়ে করিয়ে নিয়েছে। কিন্তু আমার সবচেয়ে আকর্ষণীয় কোনটা লাগে জানেন? ছবি যখন দেখবেন, বুঝবেন, বেগমজান কিন্তু একটা মেটাফর। একটা রূপক। যাবতীয় রগরগে জিনিসের উর্ধ্বে সেটা যখন অনুভব করবেন, চোখে জল আসবে!
তারপর?
ঋতুপর্ণা: সৃজিতই কিন্তু আমাকেই জড়িয়ে ধরে বলেছে, ইউ আর মাই বেগমজান।
পাখিপড়ার মতো করে যে ডাবিং সৃজিত মুখোপাধ্যায় আপনাকে দিয়ে করালেন, সেটা আর কেউ পারত?
ঋতুপর্ণা: আপনি দেখলেন, আমি গলা কীরকম পালটে ফেলেছি? (মুখে গর্বের হাসি) আমি তো কীরকম রাবীন্দ্রিক বলুন! ছোটবেলা থেকে নাচ করি। একটা অসম্ভব মেয়েলি ব্যাপার আছে আমার মধ্যে। ‘রাজকাহিনী’-তে সেই মেয়েলি ব্যপারটা একেবারে ছুঁড়ে ফেলে করে দিতে হয়েছে। ডাবিংয়ের আগে আমি চিত্কার করতাম। যাতে গলা ভেঙে যায়। তারপর ডাবিং করতাম!
নন্দিতা রায় আর শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের ছবি ‘বেলাশেষে’ ১৫০ দিন সম্পূর্ণ করল। যে ছবিতে আপনি রয়েছেন। ছবিটা এবার পুজোতেও চলবে বলে সকলের আশা। আবার একই সঙ্গে এবার পুজোর সবচেয়ে ‘আলোচিত’ ছবি ‘রাজকাহিনী’-তে মুখ্যচরিত্র আপনি। মাঝে আবার ‘তিনকাহন’-এ প্রশংসা কুড়িয়েছেন। এদিকে প্রসেনজিতের ‘লড়াই’ ফ্লপ! অর্থাত্ ২০১৫-এ বক্সঅফিসের হিসেবে তো আপনি প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায়কে টেক্কা দিলেন!
ঋতুপর্ণা: (মুচকি হেসে) আপনি ২০১৫টা শুধু দেখছেন? বাকি বছরগুলো দেখুন। আমি কিন্তু প্রত্যেক বছর হিট দিয়েছি। শুধু হিট বলবো কি? মানে আমি বলতে চাইছি, প্রত্যেক বছর একটা করে ভীষণ গুরুত্বপুর্ণ ছবি আমি দর্শকের কাছে পৌঁছে দিয়েছি।
অন্য সময়: সব বছরে আপনি কী করে এগিয়ে থাকবেন? সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে জুটি বেঁধেই তো প্রসেনজিত্ চট্টোপাধ্যায় ‘অটোগ্রাফ’, ‘বাইশে শ্রাবণ’-এর মতো হিট দিয়েছেন! সেগুলো আপনি দেখেননি?
ঋতুপর্ণা: আমি বলছি, সেইসব বছরে আমারও একটা করে ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ ছবি রয়েছে। ‘মুক্তধারা’, ‘অলীক সুখ’। সৃজিতের ছবির মধ্যে আমি ‘অটোগ্রাফ’, ‘বাইশে শ্রাবণ’ দেখেছি। আর ‘জাতিস্মর’ কিছুটা।
এই তিন ছবিরই নায়ক তো প্রসেনজিত!
ঋতুপর্ণা: হ্যাঁ। (হেসে গড়িয়ে গেলেন)
শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় একটা কথা বলছিলেন- ‘রাজকাহিনী’-র মহরতের দিন আপনাকে ছাড়তে হয়েছে বলে, ‘বেলাশেষে’-র দুর্গাপুজোর শ্যুটিং দু’দিন ধরে করতে হয়েছে। প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতা ফোন করেছিলেন ওঁকে। তাই ‘অন্য সময়’-এর এই লেখার মাধ্যমে শিবপ্রসাদ বলতে চান, ‘আমি খুব খুশি, যে এইভাবে আমি ‘রাজকাহিনী’-র অংশ হলাম।’
ঋতুপর্ণা: শিবু নিজেই আমায় যেতে বলল। আমি নিজেমুখে যাব সেটা বলিনি। কারণ আমাদের শ্যুটিং চলছিল।
শিবপ্রসাদের একটা প্রশ্ন রয়েছে। আপনি একই সময় দু’টো ছবি শ্যুট করেছেন। যেখানে ‘রাজকাহিনী’-তে আপনি অনসমবল কাস্টের মধ্যে মুখ্য চরিত্র। আর ‘বেলাশেষে’ ছবিতে আপনি অনসমবল কাস্টের মধ্যে অন্যতম চরিত্র। কীভাবে দু’টোকে ব্যালান্স করলেন?
ঋতুপর্ণা: ‘বেলাশেষে’ ছবিতে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় আর স্বাতীলেখা সেনগুপ্তর পর দর্শক যদি কারও কথা বলেন, তার নাম ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত। আমি সেই চরিত্র করেছি, যে প্রতিবাদ করে। সেখানেই তো বাকি সকলের চেয়ে ও আলাদা হয়ে যায়! (হাসি)
শিবপ্রসাদ বলছিলেন, পুরো চিত্রনাট্য না পড়েও আপনি বলে দিয়েছিলেন, ‘বেলাশেষে’ সুপারহিট হবে!
ঋতুপর্ণা: দেখেছেন তো, শিবুটা কী বাজে কথা বলে! আমি পুরো চিত্রনাট্য পড়েছি! আমার মন বলছিল, এই ছবি সুপারহিট হবে। কারণ গল্পটা পরিবারকেন্দ্রিক। আমার ভীষণভাবে মনে হয়, পরিবারকেন্দ্রিক ছবি হওয়া দরকার। আর ছবিটা করতে আমি চেয়েছিলাম, সেটা প্রাথমিকভাবে নন্দিতাদি আর শিবুর সঙ্গে আমার স্ট্রং অ্যাসোসিয়েশনের জন্যই। কিছু কিছু সময় বন্ধুত্ব এমন পর্যায় চলে যায়, যখন আর কিছু ভাবার থাকে না!
আচ্ছা পর-পর এত ভাল ছবি করছেন, তাও ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত বলে সার্চ দিলে কেন ‘ঋতুপর্ণা সেনগুন্ত হট সিনস’ সবচেয়ে আগে আসে? আপনি নাকি ছেলেকে বলেছেন ওগুলো না দেখতে?
ঋতুপর্ণা: (খুব হেসে) আমি বলেছি, হট সিনস দেখো! তবে মা সেই হট সিনে থাকলে দেখো না!
অন্য সময়: এবার একটু বুঝে, ভেবে ছবি করবেন কি? এটা অনুরোধ নয়। দাবি।
ঋতুপর্ণা: করব। কত ছবির অফার আসছে, না করে দিচ্ছি তো! বেশ কয়েকটা ছবির ব্যকলগ ছিল। সেগুলো শেষের দিকে। এরপর তো নন্দিতাদি আর শিবুর ‘প্রাক্তন’ করবো। আর অগ্নিদেব চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘গহীন হৃদয়’ করব। ওটাও সুচিত্রা ভট্টাচার্যের উপন্যাস অবলম্বনে। আর রেবতীর সঙ্গে কাজ করছি, পরিচালক সঞ্জয় নাগের ছবিতে।
অর্থাত্ সুচিত্রা সেনের মত ‘আমি নিজেকে নিজের মত ‘লুকিয়ে’ নিয়েছি’টা আপনার ফিউচার প্ল্যান নয়?
ঋতুপর্ণা: আমার ফিউচার প্ল্যান পরিশ্রম করে যাওয়া। যেদিন থেকে এই অভিনয় জীবন শুরু হয়েছে, কনস্টান্ট পরিশ্রম করছি। ওই যে আপনি বলছিলেন না, আমি ২০১৫-তে হিট দিয়েছি, সেটাও ওই পরিশ্রমের ফল। আমি সামনের বছর খুব বড় একটা নাচের অনুষ্ঠানও করতে চাই। প্ল্যান করছি!
অন্য সময়: এই সাক্ষাত্কারে সৃজিতকে কি বলতে চান?
টেনশন মাস্টার, টেনশন করবেন না। সাক্ষাত্কারটা হয়ে গিয়েছে! (খুব হাসি) যোগ করি একটু? সৃজিতের সব ছবির জন্য আমার শুভেচ্ছা। আর এটা কোনও ‘সাজানো’ লাইন নয়। একদম হৃদয় ঠেলে বেরিয়ে আসা একটা লাইন।
সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের টক শো-তে কে বেশি ভাল কথা বললেন? আপনি নাকি প্রসেনজিত!
ঋতুপর্ণা: দু’ জনেই দু’ জনের মতো করে ভাল কথা বলেছে। বাকিটা তো সাসপেন্স!
আর টক শো-এ হোস্ট সৃজিত আর গেস্ট শিবপ্রসাদের কথার টক্করে কে জিতবেন?
ঋতুপর্ণা: ওটা তো আমার কাছেও সাসপেন্স!
শেষ প্রশ্ন। দুই পরিচালক চিত্রনাট্য নিয়ে আপনার কাছে এলেন। দু’টোরই গল্প অসধারণ। দু’টো ছবিরই প্রধান চরিত্র আপনি। শ্যুটিং ডেটও এক। অতএব আপনাকে একটা ছাড়তে হবে। পরিচালকরা দু’জনেই মুখুজ্জ্যে। নাম সৃজিত এবং শিবপ্রসাদ। কোনটা ছাড়বেন?
ঋতুপর্ণা: আমাকে কোনওটাই ছাড়তে হবে না! দু’ জন পরিচালকই নিজেদের মধ্যে ডেট অ্যাডজাস্ট করবেন। কিছু ছবিতে ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তর কোনও বিকল্প হয় না!
অন্যসময়ের সৌজন্যে