শনিবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৫, ০৪:৪৫ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
গাজায় ক্ষুধা পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে: ডব্লিউএইচও আগে থেকেই একসাথে বসবাস শুরু করছে যুক্তরাষ্ট্রের যুগলরা সরকারি চাকরিজীবীদের জন্য আরও একটি লম্বা ছুটি আসছে নওগাঁসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বী মঙ্গল কামনা ও ভাই-বোনের বন্ধনের উৎসব ভাইফোঁটা অনুষ্ঠিত কুড়িগ্রাম ফুলবাড়ীতে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আলোচনা সভা ও ডকুমেন্টারি প্রদর্শন নরসিংদীর শিবপুরে বিএসটিআই সনদ ছাড়াই উৎপাদন, নিউ সুমন ফুড প্রোডাক্টসকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা দশ কোম্পানির বীমা খাতের বোর্ড সভার তারিখ ঘোষণা ই-রিটার্ন দাখিল সহজ করল এনবিআর প্রবাসীদের জন্য চীনের সহায়তায় নিজেদের হারানো এলাকা পুনর্দখলে নিচ্ছে মিয়ানমার বর্ণাঢ্য আয়োজনে আস্থা লাইফের বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

এক নজরে ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : মঙ্গলবার, ৬ মার্চ, ২০১৮
  • ৫৯২

ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ভাস্কর। তাঁর শিল্পকর্ম বেশ জনপ্রিয়। মূলত ঘর সাজানো এবং নিজেকে সাজানোর জন্য দামি জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে কিভাবে সাজানো যায় তার সন্ধান করা থেকেই তাঁর শিল্পচর্চার শুরু।

নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিভাবে অল্প খরচে সুন্দরভাবে ঘর সাজাতে পারে সে বিষয়গুলো তিনি দেখিয়েছেন। ঝড়া পাতা, মরা ডাল, গাছের গুড়ি দিয়েই মূলত তিনি গৃহের নানা শিল্প কর্মে তৈরি করতেন।

ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, খুলনায় নানার বাড়িতে। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মায়ের নাম রওশন হাসিনা। বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। ১৯৬৩ সালে প্রথম বিয়ে করেন।

পরে ১৯৭২ সালে প্রিয়ভাষিণী দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী আহসান উল্লাহ আহমেদ ছিলেন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা। তাঁর ছয় সন্তান। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। তিনি খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।

১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। মাঝে কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ইউএনডিপি, ইউএনআইসিইএফ, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শেষ বয়সে এসে নানা শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন এবং তা অবিরামভাবে অব্যাহত রাখেন।

শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসাবে পরিচিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয় তাকে।

১৯৭১ সালে বীরাঙ্গনা ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৪৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com