বৃহস্পতিবার, ২০ মার্চ ২০২৫, ১১:২৭ পূর্বাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
গাজায় ইসরায়েলি হামলার তীব্র নিন্দা জানাল বাংলাদেশ কোটচাঁদপুরে আপোষ নামায় জাল স্বাক্ষর করে মামলা খারিজের অভিযোগ নরসিংদীতে বিএনপি নেতাকে চাঁদা না-দেয়ায় শারিরীক নির্যাতন: থানায় অভিযোগ এলেঙ্গা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন– সভাপতি: রমজান, সম্পাদক: মোজাফর নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় হামলা চালিয়ে আসামিদের ছিনিয়ে নিল মাদককারবারিরা বৈদ্যূতিক লাইনম্যান থেকে হয়ে উঠা পান কবিরাজ শাহ জালালের ভূয়া কবিরাজি চিকিৎসার ফাঁদে হাজারো মানুষ! পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে পণ্যের গুনগত মান এবং ওজন ও পরিমাপ যাচাই সংক্রান্ত সার্ভিল্যান্স অভিযান শেখ হাসিনা-রেহানা পরিবারের আরও ৩৯৪ কোটি টাকা অবরুদ্ধ সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে অষ্টম শ্রেনির শিক্ষার্থী নিহত শিক্ষা অফিসের আদেশকে কোন গুরুত্ব দেননি প্রধান শিক্ষক
এক নজরে ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী

এক নজরে ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী

ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের একজন প্রখ্যাত ভাস্কর। তাঁর শিল্পকর্ম বেশ জনপ্রিয়। মূলত ঘর সাজানো এবং নিজেকে সাজানোর জন্য দামি জিনিসের পরিবর্তে সহজলভ্য জিনিস দিয়ে কিভাবে সাজানো যায় তার সন্ধান করা থেকেই তাঁর শিল্পচর্চার শুরু।

নিম্ন আয়ের মানুষেরা কিভাবে অল্প খরচে সুন্দরভাবে ঘর সাজাতে পারে সে বিষয়গুলো তিনি দেখিয়েছেন। ঝড়া পাতা, মরা ডাল, গাছের গুড়ি দিয়েই মূলত তিনি গৃহের নানা শিল্প কর্মে তৈরি করতেন।

ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি, খুলনায় নানার বাড়িতে। তাঁর বাবার নাম সৈয়দ মাহবুবুল হক এবং মায়ের নাম রওশন হাসিনা। বাবা-মায়ের ১১ সন্তানের মধ্যে প্রিয়ভাষিণী সবার বড়। ১৯৬৩ সালে প্রথম বিয়ে করেন।

পরে ১৯৭২ সালে প্রিয়ভাষিণী দ্বিতীয়বার বিয়ে করেন। তাঁর দ্বিতীয় স্বামী আহসান উল্লাহ আহমেদ ছিলেন প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা। তাঁর ছয় সন্তান। তিন ছেলে ও তিন মেয়ে। তিনি খুলনার পাইওনিয়ার গার্লস স্কুল থেকে এসএসসি এবং খুলনা গার্লস স্কুল থেকে এইচএসসি ও ডিগ্রি পাস করেন।

১৯৭৭ সাল থেকে ১৯৯৮ পর্যন্ত তিনি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। মাঝে কিছুদিন স্কুলে শিক্ষকতাও করেছেন। তিনি ইউএনডিপি, ইউএনআইসিইএফ, এফএও, কানাডিয়ান দূতাবাস প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেছেন। শেষ বয়সে এসে নানা শিল্পকর্ম সৃষ্টিতে মনোনিবেশ করেন এবং তা অবিরামভাবে অব্যাহত রাখেন।

শিল্পকলায় অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১০ সালে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার হিসাবে পরিচিত ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ প্রদান করা হয় তাকে।

১৯৭১ সালে বীরাঙ্গনা ফেরদৌসি প্রিয়ভাষিণী বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনের ৪৪ বছর পর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি পান।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com