সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: বাসার গৃহকর্তা সৈয়দ জসীমুলের সঙ্গে ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ রয়েছে- এমন সন্দেহে গৃহকর্মী পারভীনকে খুনের পরিকল্পনা করে গৃহকর্ত্রী সৈয়দা সামিনা হাসান। পরিকল্পনামাফিক গুলশানের নিকেতনের বাসায় পারভীনকে খুন করা হয়। এরপরই তার লাশ ঝাউবনে ফেলে দেওয়া হয় বলে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) তদন্তে বেরিয়ে এসেছে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) দুপুরে আগারগাঁও পিবিআই কার্যালয়ে বিশেষ পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ৩ দিন আগে তুরাগ থানার দিয়াবাড়ির ঝাউবন এলাকায় পারভীনের লাশ অজ্ঞাত হিসেবে পাওয়া যায়। এরপর প্রযুক্তির সহায়তায় ঘটনার আদ্যোপান্ত বেরিয়ে আসে।
পারভীনের স্বামীর নাম মোমিনুল হক। জীবিকার সন্ধানের ৬ বছর আগে স্বামীর সঙ্গে ঢাকায় আসে সে। স্বামী রিকশা চালালেও পারভীন করতেন গৃহকর্ত্রীর কাজ। গুলশানের নিকেতনে জসীমুলের বাসায় ৭ হাজার টাকা বেতনে চাকরি নেন। তবে তাকে বেতন দেওয়া হতো ১ হাজার টাকা করে।
এরমধ্যে গৃহকর্ত্রী সামিনার সন্দেহ হয় গৃহকর্তার সঙ্গে পারভীনের ‘অনৈতিক সম্পর্ক’ আছে। যা তিনি অনেক দিন ধরে সন্দেহ করে আসছেন। এরপরই সামিনা পারভীনকে খুনের পরিকল্পনার করে।
এরপর ১ ডিসেম্বর নিকেতনের বাসায় সামিনা পারভীনকে প্রথমে লাঠি দিয়ে মারধর করেন। সে অজ্ঞান হয়ে লুটিয়ে পড়লে তার বুকে চাপ দেয় সামিনা। বুকের হাড় ভেঙে গেলে ঘটনাস্থলেই পারভীনের মৃত্যু হয়। পরে লাশ গুম করার জন্য ওই ঝাউবনে ফেলে দেওয়া হয়।
এ ঘটনায় স্বামী-স্ত্রী দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা ঘটনার সত্যতা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পারভীনকে তার স্বামীর সঙ্গে দেখা করতে দিতো না বাসার লোকজন। এ কারণে তার স্বামী অক্টোবর মাসে গুলশান থানায় একটি জিডি করেন। তদন্তে জিডির সংশ্লিষ্টতা বেড়িয়ে আসে। আসামিদের আদালতে হাজির করে রিমান্ডে নেওয়া হবে।