রবিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৫, ০৬:০৭ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
নিজে মানুষ হবার শিক্ষা নেই কিন্তু স্বপ্ন দেখে এমপি হওয়ার, হাদিকে নীলা ইসরাফিল কুষ্টিয়ায় গ্রামীণ ব্যাংকের সাইনবোর্ডে আগুন বড় জয়ে আয়ারল্যান্ডকে হোয়াইটওয়াশ করল বাংলাদেশ নরসিংদীতে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে জালিয়াতি: ভূমি অধিগ্রহণে কোটি টাকার অনিয়ম, দুদুকে অভিযোগ ভুটানকে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ বন্ধু:প্রধান উপদেষ্টা এগুলো ‘আফটার শক’, আবারও ভূমিকম্পের ঝুঁকি আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়লো জ্বালানি তেলের দাম সাকিব আল হাসানকে এবার দুদকে তলব নরসিংদী চীফজুডিসিয়াল ম্যাজিস্টেট আদালত প্রাঙ্গণে ছাত্রদল নেতার ওপর হামলা স্ত্রী-কন্যার ছবি শেয়ার করে নারীদের ৫ প্রতিশ্রুতি দিলেন তারেক রহমান

মাধবপুরে ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালিত

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ৪ এপ্রিল, ২০২২
  • ২২৬

মোঃ নজরুল ইসলাম খান, স্টাফ রিপোর্টারঃ

হবিগঞ্জের মাধবপুরে যথাযোগ্য মযার্দায় ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া দিবস পালিত হয়েছে। সোমবার সকালে তেলিয়াপাড়া স্মৃতিসৌধে জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহানের নেতৃত্বে প্রশাসনের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। পরে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সকাল ৯টায় আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক। উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা ও দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার শেখ মঈনুল ইসলাম মঈনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জের জেলা প্রশাসক ইশরাত জাহান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন হবিগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শৈলেন চাকমা। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আতিকুর রহমান, থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক, বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী কবির উদ্দিন, আবদুর শহিদ, গৌর প্রসাদ রায়, আবদুর সামাদ, আবদুল মালেক মধু, শফিকুর রহমান, মোঃ ফুল মিয়া, পংকজ কান্তি দাস, আওয়ামী লীগ নেতা, বাবুল হোসেন খাঁন, শ্রীধাম দাস গুপ্ত, আলমগীর হোসেন টিপু, বেনু মানব রায়, আবদুল কুদ্দুছ মাখন, নাসির উদ্দিন খাঁন, যুবলীগের সভাপতি ফারুক পাঠান, সাংবাদিক সাব্বির হাসান প্রমুখ। উল্লেখ্য যে ১৯৭১ সালের ৪ঠা এপ্রিল ঐতিহাসিক তেলিয়াপাড়া চা বাগানের ম্যানেজার বাংলোয় ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের ঊর্ধ্বতন ২৭ সেনা কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে এক বৈঠকেই দেশকে স্বাধীন করার শপথ এবং যুদ্ধের রণকৌশল গ্রহন করা হয়। মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণকে ভাগ করা হয় ১১টি সেক্টর ও ৩টি বিগ্রেডে। মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক এমএজি ওসমানী পিস্তলের গুলি ছুড়ে আনুষ্টানিক ভাবে মুক্তিযুদ্ধের শুভ সূচনা করেন। তেলিয়াপাড়াকে প্রথম অস্থায়ী সেনা সদর গন্য করে মুক্তিযোদ্ধ কালে মুক্তিবাহিনীর শীর্ষ পর্যায়ের নীতি-নির্ধারণী সর্বমোট ৩টি সভার মধ্যে প্রথম দুটি সভা এখানেই অনুষ্ঠিত হয়। ওই বৈঠকে তৎকালীন কর্নেল (অবঃ) এম.এ.জি উসমানী, লেঃ কর্নেল এম.এ রব, লেঃ কর্নেল সালাউদ্দিন মোহাম্মদ রেজা, মেজর কে.এম শফিউল্লাহ্, মেজর জিয়াউর রহমান, মেজর খালেদ মোশাররফ, মেজর নূরুজ্জামান, মেজর শাফায়াত জামিল, মেজর মঈনুল হোসেন চৌধুরী, মেজর নূরূল ইসলাম, মেজর আবু উসমান, মেজর সি.আর দত্ত, ব্রাহ্মনবাড়ীয়ার বিদ্রোহী মহকুমা প্রশাসক কাজী রকিবউদ্দিন, ভারত সরকারের প্রতিনিধি হিসাবে বিএসএফ এর পূর্বাঞ্চলীয় মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার ভি,সি পান্ডে এবং আগরতলার জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ওমেস সায়গল প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com