রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৩২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: এক সময় ছিলেন শিবিরকর্মী। বর্তমানে এলাকার উঠতি বয়সী তরুনদের জড়ো করে আওয়ামীলীগের ছদ্মবেশ ধারণ করেছেন। এলাকার এক তথাকথিত মানবাধিকার কর্মীর সহায়তার এলাকার উঠতি বয়সী বখে যাওয়া তরুণদের জড়ো করে তৈরি করেছেন একটা সিন্ডিকেট। দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন কাশিপুর, ডিক্রিরচর এলাকা। সাথে চোরাই অটো, সাধারণ মানুষকে নাজেহাল এমনকি প্রসূতি মায়েদের হাসপাতালে যেতে করা হচ্ছে হয়রানি।
নারায়ণঞ্জ সদর উপজেলাধীন ফতুল্লা মডেল থানার কাশিপুর ইউনিয়নের ডিক্রিরচর এলাকায় চলছে এই নৈরাজ্যের তেলেসমাতির। পাশাপাশি মাদক ব্যবসার রমরমা বাণিজ্যে নষ্ট হয়ে যাচ্ছে ভালো পরিবারের সন্তানেরা। এ ব্যাপারে স্থানীয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী কর্তৃপক্ষের সাথে যোগযোগ করা হলে জানানো হয়, কেউ অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেয়া যাবে।
এলাকাবাসীর সাথে কথা জানা গেছে এক সময়ে জামাতে ইসলাম (শিবির) এর রাজনীতির সাথে যুক্ত এলাকার মৃত হোসেন শিকদারের ছেলে রতন এবং মৃত আশেক আলীর পুত্র আরেক রতন এর দুই জনের নিয়ন্ত্রণে প্রায় ১৫ জনের একটি সন্ত্রাসী বাহিনী আছে। যারা এলাকার উঠতি মেয়েদের উত্যক্ত করার পাশাপাশি কাশিপুর ডিক্রিরচর ঘাটে শতাধিক অবৈধ ও চোরাই ইজিবাইক ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে।
সম্প্রতি সরেজমিনে কাশিপুর, ডিক্রিরচর ঘাট এলাকা পরিদর্শনে গেলে কথা হয় স্থানীয় কিছু মানুষের সাথে। নাম না প্রকাশ করার শর্তে তাঁরা জানান, এলাকার রতন এবং রতন এই দুই রতনের সন্ত্রাসী বাহিনীর হাতে জিম্মি হয়ে আছে আলীরটেক, বক্তাবলী, ডিক্রিরচর ও কাশিপুর এলাকার মানুষ। তারা ইজিবাইক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে এলাকায় কোন সিএনজি অটোরিক্সা বা অন্য কোনো যানবাহন প্রবেশ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এলাকায় একচ্ছত্র আধিপাত্য বিস্তার করে তারা প্রতিটি ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে এককালীন প্রায় দশ হাজার টাকা আদায় করে, টাকা দিয়ে ইজিবাইকের চাকা ঘুরে। আর ইজিবাইক চালকরা এলাকায় অন্য কোনো যানবাহনকে কোনো যাত্রী বহন না করার শর্তে হাসিমুখে এ চাঁদাও দিয়ে যাচ্ছে। এভাবে শতাধিক ইজিবাইক চালকের কাছ থেকে আদায় করা যাচ্ছে লক্ষাধিক টাকা।
মানবাধিকার ফাউন্ডেশন এর সাইন বোর্ড ব্যবহার করে স্থানিয় যুবকদের কাছে কার্ড প্রতি গড়ে ১০,০০০/- (দশ হাজার) টাকা নিয়ে মোট অংক হাতিয়ে নিছে চক্রের মূল হোতা রতন তার অপকর্মের যেন শেষ নেই। হিন্দু সম্প্রদায় এর জায়গা থেকে শুরু করে এতিমদের অর্থ, যায়গা ও মসজিদ মাদ্রাসার যায়গাও রক্ষা পায়নি।
রতন গংদের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ রয়েছে তারা আওয়ামীলীগের নাম ভাঙিয়ে ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে অন্যের জমি দখল, বিচার শালিস জিতিয়ে দেওয়ার চুক্তি নিয়ে থাকে। তাছাড়া এলাকার বিচার শালিসে গণ্যমান্যদের কোনো বিচার পছন্দ না হলে কিংবা রতনদের সমর্থিত পক্ষ বিচারে হেরে গেলে রতন গংরা নাখোস ব্যক্তির উপর হামলা চালায়, ভয়ভীতি দেখায় কিংবা তাদের প্রতিষ্ঠানে ভাঙ্গচুড় চালায় ও স্থানিয় থানা পুলিশের কথা বলে বন্ধ করে দেয়।
এই দুই রতনের সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে আরো অভিযোগ আছে, এলাকায় কিছু বিশেষ মানুষকে ম্যানেজ করতে বা খুশি রাখতে তারা ইজিবাইক চালকদের কাছ থেকে থেকে আদায় করা লক্ষাধিক টাকা থেকে কিছু টাকা মসজিদে দান করে, আর স্থানীয় মাদ্রাসায় দুই/এক বস্তা চাল দান-খয়রাত করে নিজেদের চাঁদাবাজির পথকে সুগম করছে।
এসব বিষয় নিয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করা হলে তারা জানান, সংশ্লিষ্ট থানায় অভিযোগ দায়ের করেিল কাশিপুর, ডিক্রিরচর এলাকার চাঁদাবাজি এবং অবৈধ ইজিবাইকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় হবে।