রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন
বিএনপির চেয়ারপাসন বেগম খালেদা জিয়াকে হাই কোর্টের দেওয়া জামিন আগামী ৮ মে পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। দুই সপ্তাহের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে এবং পরের দুই সপ্তাহের মধ্যে খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ জামিনের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের লিভ টু আপিল গ্রহণ করে এই আদেশ দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও দুদকের আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। খালেদা জিয়ার জামিনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। পরে আইনজীবীরা জানান, আগামী ৮ মে খালেদার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ ও দুদকের আপিল শুনানি শুরু হবে।
এর আগে গতকাল জামিনের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিলের শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন আদালত।
গত ১৫ মার্চ খালেদা জিয়াকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত চেয়ে লিভ টু আপিল দায়ের করেন রাষ্ট্রপক্ষ ও দুর্নীতি দমন কমিশন। গত ১৪ মার্চ খালেদা জিয়ার হাইকোর্টের দেওয়া চার মাসের জামিন রবিবার পর্যন্ত স্থগিত করে লিভ টু আপিল দায়েরের জন্য দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে নির্দেশ দেন আপিল বিভাগ।
এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন মঞ্জুর করে আদেশ দেন।
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানি শেষ হয়। গত ২২ ফেব্রুয়ারি একই বেঞ্চ খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। এ ছাড়া এই মামলায় নিম্ন আদালতের দেওয়া অর্থদণ্ড স্থগিত করা হয়। পাশাপশি নিম্ন আদালতের নথি ১৫ দিনের মধ্যে পাঠাতে ঢাকা বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারককে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন নিম্ন আদালত। এ মামলার অপর আসামি তার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচজনকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা জরিমানাও করা হয়।