সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:৪৪ অপরাহ্ন
আদালত প্রতিবেদক: দেশের সব অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে কার্যকরী নির্দেশনা জারির নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব এবং পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিবকে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বিচারপতি মো. আশফাকুল ইসলাম ও বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ রোববার রুলসহ এই আদেশ দেন।
এছাড়াও পৃথক আদেশে পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পরিচালক ও বিভাগীয় কমিশনারদের এক সপ্তাহের মধ্যে তাদের নিজ নিজ দায়িত্বপ্রাপ্ত এলাকায় মনিটরিং টিম গঠন করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম ও জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধের বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি তাদেরকে দুই সপ্তাহের মধ্যে হাইকোর্টে এ বিষয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
রুলে দেশের সকল জেলার অবৈধ ইটভাটা বন্ধ ও জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে বিবাদীদের নিষ্ক্রিয়তাকে কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে। এছাড়া অবৈধ ইটভাটা স্থাপন ও ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার বন্ধে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতেও রুল জারি করা হয়েছে। মামলার সংশ্লিষ্ট বিবাদীদের আগামী ৪ সপ্তাহের মধ্যে এই রুলের জবাব দিতে হবে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। অন্যদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল কাজী মাইনুল হাসান।
জানা গেছে, ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ অনুসারে লাইসেন্স ব্যতীত কোনো ইটভাটা স্থাপন ও পরিচালনা করা যায় না এবং জ্বালানি হিসেবে ইটভাটায় কাঠের ব্যবহার নিষিদ্ধেরও বিধান রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশের বেশির ভাগ জেলায় শীত মৌসুমকে সামনে রেখে অবৈধ ইটভাটাগুলো কার্যক্রম শুরু করছে। এমনকি ইটভাটাগুলো জ্বালানি হিসেবে কাঠ ব্যবহারের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বলেও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে অবৈধ ইটভাটা এবং কাঠের ব্যবহার বন্ধে গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন সংযুক্ত করে গত ১৩ নভেম্বর হাইকোর্টে রিট দায়ের করে মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি)। আজ ওই রিটের শুনানি নিয়ে আদেশ দেন হাইকোর্ট।