রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক: নিরাপত্তার কারণে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আজ বুধবার আদালতে নেওয়া হয়নি। এ কথা জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আজ খালেদা জিয়াকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করার কথা ছিল। কিন্তু তাঁকে ছাড়াই আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মোশাররফ হোসেন।
আজ চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়ার উপস্থিতিকে ঘিরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী বিশেষ জজ আদালত এলাকায় কঠোর নিরাপত্তাবেষ্টনী গড়ে তোলা হয়। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক আখতারুজ্জামান আদালতে আসেন।
আদালত বসার পর খালেদা জিয়াকে কেন আদালতে হাজির করা হয়নি, তা সুনির্দিষ্ট করে আদালতকে জানাননি দুদকের আইনজীবী। মোশাররফ হোসেন কাজল আদালতকে বলেন, ‘এই মামলার দুজন আসামি আদালতে উপস্থিত রয়েছেন। অপর আসামি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অনুপস্থিত। প্রসিকিউটর হিসেবে আমার দায়িত্ব তাঁকে আদালতে হাজির করানোর। তাঁর না আসার কোনো কারণ থাকতে পারে স্যার।’
পরে খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এই মামলায় খালেদা জিয়ার জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন। মোশাররফ হোসেন এর বিরোধিতা করে বলেন, খালেদা জিয়া অন্য একটি মামলায় কারাগারে আছেন। কারাগারে থাকার কারণে তাঁর জামিনের কোনো সুযোগ নেই। তখন সানাউল্লাহ মিয়া বলেন, জামিনের সঙ্গে কারাগারে থাকা বা না থাকার কোনো সম্পর্ক নেই।
উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনার পর বিচারক আখতারুজ্জামান বলেন, আগামীকালও এ মামলার শুনানির দিন ছিল। কিন্তু শুনানি হবে না। আগামী ৫ এপ্রিল এ মামলার শুনানির দিন ধার্য হলো। একই সঙ্গে ওই দিন পর্যন্ত খালেদা জিয়া এই মামলায় জামিনে থাকবেন বলে তিনি আইনজীবীদের জানান।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন আদালত। এরপর থেকে তিনি নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন। প্রায় সাত সপ্তাহ পর আজই প্রথম তিনি কারাগার থেকে বাইরে আসতে পারেন বলে ধারণা করা হয়েছিল । জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় যে আদালত তাঁকে দণ্ডিত করেছেন, সেই আদালতেই জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার চলছে।