শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন
স্টাইল হোক, কিংবা পাকা চুল লুকানোর কাজ- চুলের রং বেশ জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে। এটা একমাত্র ট্রেন্ড যা ধীরে ধীরে আরো বেশি জনপ্রিয় হচ্ছে এবং রংয়েও আসছে বৈচিত্র্যতা। আগে কেবল বাদামি বা পার্পল রংয়ের আধিক্য থাকলেও এখন নিল, স্বর্ণালী বা অন্যান্য রংও করছে ফ্যাশনসচেতনরা। কিন্তু চুলের রংয়ের সঙ্গে স্বাস্থ্যগত বিষয় তো জড়িয়ে থাকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, চুলের রং কীভাবে আপনার স্বাস্থ্যের জন্যে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে ওঠে।
প্রকৃতিগতভাবেই ক্যান্সার সৃষ্টিকারী
আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির গবেষণায় বলা হয়, বেশ কিছু গবেষণায় চুলের রং আর ক্যান্সারের মধ্যে যোগসূত্র দেখা গেছে। এর কারণ হলো, চুলের রংয়ে এমন রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করা হয় যা কিনা চুল হয়ে ত্বকের মধ্যে প্রবেশ করে। আর এসব উপাদান ক্যান্সার সৃষ্টি করতে সক্ষম।
অ্যালার্জি
সাধারণত চুলের রংয়ে থাকে প্যারাফেনাইলেনডায়ামাইন। এটি ত্বকের সাধারণ অ্যালার্জি সৃষ্টিকারী উপাদান। এই অ্যালার্জি পিগমেন্টেশন, র্যাম আর চুলকানির মাধ্যমে দেখা দিতে পারে।
শ্বাস-প্রশ্বাস
চুলের রংয়ে থাকে পালসালফেট। এতে শ্বাস-প্রশ্বাসে সমস্যা হয়। এতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ অনেকেরই শ্বাসযন্ত্রে সমস্যা সৃষ্টি করে।
চোখ
প্যাকেটেই বলা থাকে, চোখ থেকে দূরে রাখতে হবে। আর চোখে লাগলে দ্রুত পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। চোখে পড়লে জ্বলুনি শুরু হতে পারে। চোখ লাল হয়ে যাবে এবং চোখে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে।
ত্বক বিবর্ণ হয়ে যাওয়া
এটা নিয়ে এখনো গবেষণা চলছে। অনেক গবেষণাতেই বলা হয়েছে, চুলের রংয়ে ত্বক বিবর্ণ হয়ে যায়। যদি রং ত্বকে লাগে তবে এমনটা হয়। তাই রং করার জন্যে হাতে অবশ্যই গ্লাভস পরে নিতে হয়।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া