বুধবার, ১৬ Jul ২০২৫, ০৮:২৫ অপরাহ্ন

সংবাদ শিরোনাম :
শেরপুরের শ্রীবরর্দীতে বন্য হাতি দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ  মিটফোর্ডে সোহাগ হত‌্যাকাণ্ড, সেই পাথর নিক্ষেপকারী গ্রেপ্তার এনসিপির গাড়িবহরে ফের আ.লীগ-ছাত্রলীগের হামলা, রণক্ষেত্র গোপালগঞ্জ, ১৪৪ ধারা হৃদরোগীদের ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয় প্রতিরোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ দুঃস্থ পরিবারের ৫শিশু কন্যার পাশে দাঁড়ালেন রাজারহাট ইউএনও ১৬ জুলাই রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা লালমনিরহাটে মাদক সেবনকারী ও পাচারকারী চক্রের ছোবলে তরুন ও যুব সমাজ লালমনিরহাটে বাড়ছে শিশু শ্রমিকের সংখ্যা; ঝরে পড়ছে শিক্ষার্থীরা এইচ টু বিল্ডার্সের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ, চুক্তিভঙ্গ এবং প্রাণনাশের হুমকির অভিযোগে থানায় জিডি: রাজউকের দৃষ্টি আকর্ষণ বীর মুক্তিযোদ্ধা খ.ম. আমীর আলীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ: মুক্তিযোদ্ধা ও জনসাধারণের প্রতিবাদে উত্তাল জনমত
হৃদরোগীদের ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয় প্রতিরোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ

হৃদরোগীদের ডেঙ্গু : আতঙ্ক নয় প্রতিরোধে প্রয়োজন সমন্বিত উদ্যোগ

ডা. মুহাম্মাদ মাহতাব হোসাইন মাজেদ:
বাংলাদেশে বর্ষা এলেই বাড়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ। বছর বছর এই ভাইরাসজনিত রোগটি ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। তবে সবচেয়ে ঝুঁকির মুখে রয়েছেন যারা আগে থেকেই নানা ধরনের জটিল রোগে ভুগছেন, বিশেষ করে হার্টের রোগীরা। দেশে মারাত্মক রূপ নিয়েছে ডেঙ্গু পরিস্থিতি।প্রতিদিন ডেঙ্গুরোগী যেভাবে বাড়ছে, তাতে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্কও বাড়ছে বর্তমানে সর্বোচ্চ  রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ডেঙ্গু রোগী।আর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বাংলাদেশে ৫৩ ভাগ মৃত্যুর কারণ অসংক্রামক রোগ ও এর মধ্যে শীর্ষস্থানে আছে হৃদরোগ।দেশের মোট মৃত্যুর শতকরা ২৭ ভাগই হৃদরোগের নানা সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে মারা যান।এখন ঢাকাসহ সারাদেশে ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ ব্যাপকভাবে বেড়ে যাওয়ায় যেসব পরিবারে হৃদরোগী আছে তাদের মধ্যে উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে।আর জুন-সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়তে থাকে। এ সময়ে রক্ত উপাদান প্লাটিলেটের চাহিদা বেড়ে যায়। আত্মীয়স্বজনকে নিয়ে হাসপাতালে রীতিমতো দৌড়াদৌড়ি! অথচ বাড়িঘরে যেখানে-সেখানে পানি জমতে না দিয়ে এডিস মশার বংশবিস্তার রোধ করলেই এই ব্যাধির প্রকোপ বাংলাদেশে কমানো সম্ভব। এ সংক্রান্ত সার্বিক পরিচ্ছন্নতাই পারে ডেঙ্গুকে নিয়ন্ত্রণে আনতে।স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী  মঙ্গলবার  ১৫  জুলাই ২০২৫। চলতি বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন মোট ১৫ হাজার ৫৮৫ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ৫৮ দশমিক ৭ শতাংশ পুরুষ এবং ৪১ দশমিক ৩ শতাংশ নারী। এ সময়ে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন মোট ১৪ হাজার ৩১৭ জন। এ বছর ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৮ জন।
২০২৪ সালে দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছিল মোট ১ লাখ ১ হাজার ২১৪ জন এবং মারা গেছেন ৫৭৫ জন।। ২০২৩ সালের জুন মাস থেকে ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভয়াবহ আকার ধারণ করে।  দেশে তিন লাখ ২১ হাজার ১৭৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নেন। এর মধ্যে ঢাকায় এক লাখ ১০ হাজার ৮ জন এবং ঢাকার বাইরে চিকিৎসা নিয়েছেন দুই লাখ ১১ হাজার ১৭১ জন।আক্রান্তদের মধ্যে হাসপাতাল থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরেন তিন লাখ ১৮ হাজার ৭৪৯ জন। এক হাজার ৭০৫ জন মশাবাহিত এই রোগে মারা গেছেন, যা দেশের ইতিহাসে এক বছরে সর্বোচ্চ মৃত্যু।
এর আগে ২০১৯ সালে দেশব্যাপী ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছিলেন এক লাখ এক হাজার ৩৫৪ জন। ওই সময় চিকিৎসক-স্বাস্থ্যকর্মীসহ প্রায় ৩০০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
২০২০ সালে করোনা মহামারিকালে ডেঙ্গুর সংক্রমণ তেমন একটা দেখা না গেলেও ২০২১ সালে সারাদেশে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হন ২৮ হাজার ৪২৯ জন। ওই বছর ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০৫ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
এছাড়া ২০২২ সালে ডেঙ্গু নিয়ে মোট ৬২ হাজার ৩৮২ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন। ওই বছর মশাবাহিত রোগটিতে আক্রান্ত হয়ে ২৮১ জন মারা যান। ২০০০ সালের পর থেকে একদিনে ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে এত মানুষের মৃত্যু আগে দেখেনি দেশ।কারণ এমনিতেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে সুস্থ মানুষই হঠাৎ করে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সেক্ষেত্রে ইতোমধ্যেই যারা হার্টের বিভিন্ন সমস্যার জন্য চিকিৎসাধীন আছেন তারা ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে পরিস্থিতি কেমন হবে তা নিয়েই উদ্বেগ তাদের।ডেঙ্গু মৌসুমে কারও জ্বর হলে সেটা গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে। ঘরে বসে অপেক্ষা না করে চিকিৎসককে দিয়ে নিশ্চিত হতে হবে। সামান্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ডেঙ্গু রোগ নির্ণয় করা সম্ভব। তীব্র জ্বরের সঙ্গে প্রচণ্ড মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা, সারা শরীর ব্যথা, মেরুদণ্ড ব্যথা, খাবার অরুচি, বমি এসব ডেঙ্গুর লক্ষণ। সাধারণত চার পাঁচ দিন একটানা জ্বর শেষে হঠাৎ জ্বর কমে যায় এবং পঞ্চম বা ষষ্ঠ দিনে গায়ে লাল লাল এক ধরনের দানা ওঠে এবং দ্বিতীয়বারের মতো আবার জ্বর দেখা দেয়। তবে ডেঙ্গুর প্রকৃতি এবং পরিণতি সবক্ষেত্রে, সবার ক্ষেত্রে একরকম হয় না। কারও কারও ক্ষেত্রে পরিস্থিতি দ্রুত খারাপ দিকে মোড় নিতে পারে। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষ উচ্চ ঝুঁকিতে পড়ে যেতে পারেন।
> উপসর্গে বিভ্রান্তি হতে পারে
ডেঙ্গুর উপসর্গ যেমন জ্বর, বুকে চাপ, শ্বাসকষ্ট কিংবা ঘামের সঙ্গে হৃদরোগের উপসর্গ মিল থাকায় অনেক সময় রোগী বা স্বজনরা বিভ্রান্ত হয়ে পড়েন। আবার হৃদরোগীদের ডায়াগনস্টিক পরীক্ষার ফলাফল অনেক সময় ভিন্ন হতে পারে, যা চিকিৎসকদের জন্যও চ্যালেঞ্জ তৈরি করে।
> পরীক্ষা করবেন : জ্বরের প্রথম বা দ্বিতীয় দিনে CBC এবং Dengue NS1 Ag পরীক্ষা করলেই বেশিরভাগ ক্ষেত্রে রোগ ধরা পড়ে। জ্বরের পঞ্চম দিন থেকে CBC, Dengue IgM Ab, SGPT পরীক্ষা করতে হবে।
>  হৃদরোগীরা কী করবেন : আতঙ্কিত হবেন না। আতঙ্ক আপনার কোনো উপকারে আসবে না। রোগের তীব্রতা অনুযায়ী চিকিৎসক আপনাকে উপদেশ দেবেন। রক্তের কাউন্ট স্বাভাবিক থাকলে বিশ্রাম নেবেন। জ্বরে মানুষের শরীর থেকে পানি উড়ে গিয়ে পানিশূন্য হয়ে যেতে পারে। তাতে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন লিভার, কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তাই প্রচুর তরল খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। জ্বর কমাতে শুধু প্যারাসিটামল অথবা হোমিওপ্যাথি রাস্ট টক্স দেওয়া যেতে পারে। সাবধান জ্বর বা শরীর ব্যথার জন্য ব্যথানাশক ওষুধ মুখে বা মলদ্বারে দেওয়া যাবে না।
> ব্যথানাশক কেন নয় : ডেঙ্গু জ্বরে রক্তের জমাটবাঁধার প্রধান উপাদান অণুচক্রিকা কমে যেতে পারে। অণুচক্রিকা দেহের স্বাভাবিক রক্তপ্রবাহে একটি নিখুঁত ভারসাম্য রক্ষা করে। ডেঙ্গু জ্বরে সেই ভারসাম্যটি ভেঙে পড়তে পারে। মনে রাখতে হবে, প্রায় সব ধরনের ব্যথানাশক ওষুধ অণুচক্রিকার বিরুদ্ধে কাজ তরে। ফলে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা’র মতো কমতে থাকা অণুচক্রিকা ব্যথানাশকের আক্রমণে দ্রুত অকার্যকর হয়ে রোগীকে রক্তক্ষরণের ঝুঁকিতে ফেলে দিতে পারে।
> হাসপাতালে কখন ভর্তি হবেন : ডেঙ্গু ধরা পড়ার পর থেকে প্রতিদিন রক্তের ঈইঈ পরীক্ষা করতে হবে। যদি দেখা যায় অণুচক্রিকা স্থিতিশীল রয়েছে, রোগী মুখে পর্যাপ্ত খেতে পারছেন তাহলে দুশ্চিন্তার কিছু নেই। বাড়িতে বসেই চিকিৎসা নিতে পারবেন। যদি অণুচক্রিকা দ্রুত হ্রাস পেতে থাকে এবং রোগীর রক্তচাপ কমতে থাকে, নাড়ির গতি বাড়তে থাকে, মুখে পর্যাপ্ত খেতে পারেন না তাহলে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হবে। আর যদি দেখা যায় অণুচক্রিকা ধীরগতিতে কমছে তাহলে বাড়িতে বসে প্রতিদিন CBC করতে হবে। অণুচক্রিকা বাড়তে শুরু করলে আর ভয় নেই। ধীরে ধীরে রোগী ভালো হয়ে যাবেন।
> হৃদরোগ রোগীর ঝুঁকি  কোথায়?
 হৃদরোগে আক্রান্তদের ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার কয়েকটি ঝুঁকির কথা উল্লেখ করা হয়েছে । এগুলো হলো:
১. প্রেশার কমে যাওয়া
২. হাইপোটেনশন থেকে বিপদ হওয়ার ভয়
৩.ডেঙ্গু থেকে লিভার আক্রান্ত হতে পারে। বিলুরুবিন বেড়ে যাতে পারে।
৪. রক্তের অণুচক্রিকায় রক্তক্ষরণের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়া।
৫. হৃদরোগ ছাড়াও যারা উচ্চ রক্তচাপ ও হার্ট ফেইলিউরের ঔষধ নিচ্ছেন তাদের সেসব ঔষধ রক্তচাপ কমিয়ে দিতে পারে । তাই এসব ওষুধ ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শক্রমে সাময়িক বন্ধ রাখতে হবে। যাদের ডায়াবেটিস আছে ডেঙ্গু তাদের রক্তের সুগার ওঠানামা করতে পারে। ওষুধ/ইনসুলিন নেওয়ার আগে রক্তের সুগার পরীক্ষা করে ডোজ অ্যাডজাস্ট করতে হবে।
> ডেঙ্গু নিরাময়যোগ্য
আগেই বলা হয়েছে, ডেঙ্গু নিয়ে ভয়ের কিছু নেই। তা ছাড়া যত ব্যাপকতা নিয়েই ডেঙ্গু আক্রমণ করুক না কেন, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে এটি নিরাময়যোগ্য রোগ। রক্তের প্লাটিলেট একবার বাড়তে শুরু করলে আর ভয় নেই। মূল চিকিৎসা হলো সেবা। পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও খাদ্য গ্রহণ করলে এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যেই হৃদরোগীরা সুস্থ হতে পারবে।
> হোমিও চিকিৎসাঃ রোগ নয় রোগীকে চিকিৎসা করা হয় এই জন্য একজন অভিজ্ঞ চিকিৎসক কে ডা.হানেমানের নির্দেশিত হোমিওপ্যাথিক নিয়মনীতি অনুসারে হৃদরোগীর ডেঙ্গুরোগ সহ যে কোন  জটিল ও কঠিন রোগের চিকিৎসা ব্যক্তি স্বাতন্ত্র্য ভিওিক লক্ষণ সমষ্টি নির্ভর ও ধাতুগত ভাবে চিকিৎসা দিলে  আল্লাহর রহমতে হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা পদ্ধতিতে হৃদরোগীর ডেঙ্গু আক্রান্ত হইলে চিকিৎসা সম্ভব। অভিজ্ঞ চিকিৎসক গন প্রাথমিক ভাবে যেসব ওষুধ ব্যবহার করেন, একোনাইট, বেলেডোনা, ব্রায়োনিয়া, রাসটক্স, ইউপেটেরিয়াম পার্ফ, আর্সেনিক অ্যালবাম, কার্বোভেজ, ইপিকাক, বাক্স, সালফারসহ আরো অনেক ওষুধ লক্ষণের উপর আসতে পারে তাই মনে রাখবেন হোমিওপ্যাথি একটি লক্ষণ নির্ভর চিকিৎসা ব্যবস্থা। এক্ষেত্রে মানুষভেদে ওষুধ বদলে যায়। তাই রোগের তীব্রতা খুব বেশি থাকলে নিজে থেকে ওষুধ না খেয়ে একজন বিশেষজ্ঞ  চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।আর হৃদরোগ রোগীরা ডেঙ্গু জ্বরের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে হলে অভিজ্ঞ হোমিওচিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
> ডেঙ্গু থেকে বাঁচার উপায় কি?
প্রতিকারের চেয়ে প্রতিরোধই উত্তম। শুধু উত্তম বললেও কম বলা হয়। এটাই বাঁচার ভাল উপায়। করোনার এই নাকাল অবস্থায় কারো ডেঙ্গু হলে অবস্থাটা কি হতে পারে এটা যার হবে সেই বুঝতে পারবে। তবে যার হয়নি সেও চিন্তা করলে মাথা ঠিক থাকার কথা না। তাই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে মশার প্রজনন বন্ধ করা আর মশা নির্মুলের কোন বিকল্প নাই। পানি জমতে পারে এমন কোন অবস্থাই যেন না হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে। সকল প্রকারের ডাবের খোসা, গাড়ির টায়ার, ভাঙ্গা বোতল, পরিত্যক্ত ফুলের টব ইত্যাদি ইত্যাদি সবই সরিয়ে ফেলতে হবে নিজ উদ্যোগেই। সরকারের একার পক্ষে সাড়ে  ১৭ কোটি মানুষের ভাঙ্গা বোতল, গ্লাস, ডাবের খোসা, বালতি, টায়ার খুঁজে বের করা বা সরিয়ে ফেলা সম্ভব না। বাঁচতে হলে যার যার নিজ উদ্যোগেও এগুলোতে অংশগ্রহন করতে হবে। মনে রাখবেন, আপনার বাড়ির পাশের মশা আপনাকেই আক্রমণ করবে।
পরিশেষে বলতে চাই, হৃদরোগ রোগীর ডেঙ্গু হওয়া মানে হলো এমনিতেই বিপদে। তার মধ্যে যাদের হার্ট অ্যাটাক একবার হয়েছে কিংবা রিং পরানো আছে তাদের নিজেদেরই উপলব্ধি করতে হবে যে সমস্যা হচ্ছে কি-না। তাই বর্তমান পরিস্থিতিতে হৃদরোগীদের জ্বর হলেই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত ও দ্রুত পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা উচিত। ডেঙ্গু জ্বর হলে আতঙ্ক নয় জটিলতাভিত্ত্বিক চিকিৎসা করা হলে রোগী দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। তাই ডেঙ্গুর লাভা যেন গঠিত হতে না পারে সে ব্যপারে বাড়ির চারদিকে নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা এবং নিয়মিত অভ্যাসগুলোকে মানিয়ে নেওয়ার মানসিকতা গঠন করা দরকার। ব্যক্তিগত উদ্যোগের সঙ্গে সঙ্গে প্রতিবেশীকে সচেতন করা এবং জনসাধারণকে সঠিক তথ্য সরবরাহ করা জরুরী।শহরকেন্দ্রিক সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগ বাস্তবায়নে সহায়তা করা।আর প্রতি শুক্রবার জুমার নামাজে উপস্থিতদের মধ্যে ডেঙ্গু সচেতনতা কার্যক্রম পরিচালনা করতে পারেন ও ব্যক্তি সচেতনতার পাশাপাশি  এ ব্যাপারে ব্যাপক সামাজিক সচেতনতামূলক পদক্ষেপ বেশি জরুরি।এভাবে সমন্বিতভাবে কাজ করলে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করা সম্ভব এবং হৃদরোগীরাও এই রোগের ঝুঁকিমুক্ত থাকতে পারবে।
 লেখক, সংগঠক, চিকিৎসক, কলাম লেখক ও গবেষক 
প্রতিষ্ঠাতা ও চেয়ারম্যান, জাতীয় রোগী কল্যাণ সোসাইটি
চেম্বার:-ন্যাশনাল হোমিও রিসার্চ সেন্টার
অলংকার শপিং কমপ্লেক্স চট্টগ্রাম
মোবাইল, ০১৮-২২৮৬৯৩৮৯
ইমেইল, drmazed96@gmail.com

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

© All rights reserved © 2011 VisionBangla24.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com