মঙ্গলবার, ০৪ নভেম্বর ২০২৫, ০৮:৫০ পূর্বাহ্ন

সনদ জালিয়াতির : মনোহরদীর বিএনপির সদস্য সচিব দোলনের ইস্তফাপত্র

ভিশন বাংলা ২৪ ডেস্ক :
  • আপডেট টাইম : সোমবার, ২৫ আগস্ট, ২০২৫
  • ২৪৩

স্টাফ রিপোর্টার:

শিক্ষাগত যোগ্যতার জাল সনদ ব্যবহারের অভিযোগে বিতর্কের মুখে অবশেষে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে পদত্যাগ করলেন মনোহরদী উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব আমিনুর রহমান সরকার দোলন। তিনি এখনো আরো ৬টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাল সনদ দিয়ে বহাল রয়েছেন। লাখপুর কামিল মাদ্রাসা, চন্দনবাড়ি ফাজিল মাদ্রাসা, আছমত আলী মহিলা ডিগ্রি কলেজ, মনোহরদী কারিগরি ও বাণিজ্য কলেজ, খিদিরপুর ডিগ্রি কলেজ এবং আসাদনগর ডিএম ফাজিল মাদ্রাসা।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে পাঠানো তার পদত্যাগপত্রটি এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে। এটি স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, শিক্ষা ব্যবস্থায় জালিয়াতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেওয়ায় অভিযুক্তরা এখন পিছু হটতে বাধ্য হচ্ছেন।
পদত্যাগপত্রের বিস্তারিত
আমিনুর রহমান সরকার দোলন তার পদত্যাগপত্রটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর পাঠিয়েছেন। পত্রে তিনি লিখেছেন, কলেজ কমিটির সভাপতি পদে ব্যক্তিগত কারণে এবং কলেজ পরিদর্শকের নির্দেশে আমি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করছি। এতে তার স্বাক্ষর এবং তারিখ হিসেবে ০৩/০৮/২০২৫ উল্লেখ করা আছে। পদত্যাগপত্রটি বড়চাপা ইউনিয়ন ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষের মাধ্যমে পাঠানো হয়।

এই পদত্যাগপত্রটি এমন এক সময়ে প্রকাশ পেল, যখন তার বিরুদ্ধে জাল মাস্টার্স সনদ ব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। তিনি ১৯৯৫ সালে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা সরকারি কলেজ থেকে ইসলামের ইতিহাসে মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জনের দাবি করেছিলেন, যা কলেজ কর্তৃপক্ষ মিথ্যা প্রমাণ করে। এরপর, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে আরও একটি ভুয়া প্রভিশনাল সার্টিফিকেট নিয়ে বিতর্ক সৃষ্টি হয়।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন যে, জাল সনদের বিরুদ্ধে তারা কঠোর অবস্থানে আছেন এবং কোনো অনিয়মকেই প্রশ্রয় দেওয়া হবে না। ধারণা করা হচ্ছে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এই কঠোর অবস্থানের কারণেই দোলন পদত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন।

শিক্ষাবিদরা মনে করছেন, এই পদত্যাগ দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেতৃত্ব পদে থাকা ব্যক্তিদের জন্য একটি সতর্কবার্তা। যারা অন্যায়ভাবে বা জালিয়াতি করে গুরুত্বপূর্ণ পদ দখল করেছেন, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার এটি একটি দৃষ্টান্ত। একইসাথে, এটি প্রমাণ করে যে, যথাযথ তদন্ত এবং প্রশাসনিক চাপ প্রয়োগ করা হলে, এই ধরনের জালিয়াতি রোধ করা সম্ভব।

স্থানীয় রাজনৈতিক ও শিক্ষামহলে দোলনের পদত্যাগের খবর ব্যাপক আলোচনার জন্ম দিয়েছে। অনেকেই বলছেন, এটি জালিয়াতির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা এবং গণমাধ্যমের ভূমিকার একটি বড় বিজয়। তবে, তার বিরুদ্ধে অন্যান্য আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতির যে অভিযোগ রয়েছে, সেগুলোরও তদন্ত হওয়া উচিত বলে দাবি উঠেছে।

ভালো লাগলে নিউজটি শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর..
© All rights reserved © 2011-2025 VisionBangla24.Com
Theme Developed BY ThemesBazar.Com